নিজস্ব প্রতিনিধি : যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে শুধু বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে ২০ ভাগ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। সে ভোটে আমরাও যাব না। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এমনটিই জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন— সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর আয়োজনে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি আপনাকে চিনতে পারি নাই। আমার আগে আপনাকে শেখ হাসিনা চিনেছে। দেশের মানুষ চিনেছে। শেখ হাসিনার অন্যায়, বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়। শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যায় নয়। এই আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেখ মুজিব ও শামসুল হক। শেখ হাসিনা জন্ম দেন নাই।
শেখ হাসিনার বিচার করবেন ভালো কথা। কিন্ত আওয়ামী লীগের বিচার করবেন, তা পারবেন না। আইয়ুব খান পারে নাই, ইয়াহিয়া খানও পারে নাই। আপনারাও পারবেন না।
বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন— আওয়ামী লীগের যারা দোষী, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার করেন। কিন্তু সবাই তো দোষ করে নাই। শেখ হাসিনাকে আমি রাজনৈতিকভাবে কখনো সমর্থন করি নাই। কারণ সে মনে করত দেশটা তার বাপের। আর আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক। আমরা সবাই আল্লাহর গোলাম।
বঙ্গবীর আরও বলেন— বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিলাম। জিয়াউর রহমানও করেছিলেন। দুজনকেই বীর-উত্তম খেতাব দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সরকার। এখানে কোনো ভিন্নতা নেই। ভিন্নতা করেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতকে আমরা শক্তিশালী করে দিয়েছি। স্বাধীনতাযুদ্ধে তারা যে অন্যায়-অবিচার করেছে, মা-বোনের সম্মান ধ্বংস করেছে তারা ক্ষমা না চাইলে এই দেশে কথা বলার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা ছিল বলেই জামায়াতের নেতারা বেঁচে গিয়েছেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, টাঙ্গাইল জেলার মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানী কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙ্গাল ও দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানু প্রমুখ।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
–
“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

