ওয়াশিংটন, ১৩ সেপ্টেম্বর – যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটিভ অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছের লোক চার্লি কার্ক গত বুধবার উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির নাম টাইলার রবিনসন (২২) বলে জানান উটাহর গভর্নর।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প অনুগত চার্লি কার্কে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম টাইলার রবিনসন। ২২ বছরের এই যুবক উটাহ প্রদেশের বাসিন্দা।
উটাহর গভর্নর স্পেন্সার জে কক্স জানিয়েছেন, টাইলার রবিনসনের বাবা ও এক বন্ধুর সহায়তায় তাকে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কারণেই কার্ককে হত্যা করেছে টাইলার। চার্লি কার্কের মতবাদের চরম বিরোধী তিনি।
তিনি আরও জানান, যে হামলায় রাইফেলটি ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তার প্রতিটি বুলেটের খোসায় বিভিন্ন কথা খোদাই করা ছিল। ছোড়া একটি গুলির খোসায় লেখা ছিল— ‘নোটিশেস, বাল্জেস ওয়াও, হোয়াট ইস দিস?’ আর রাইফেলটির ভেতরে থাকা তিনটি বুলেটের খোসায় লেখা ছিল, ‘হে ফ্যাসিস্ট! ক্যাচ!’, ‘ওহ বেলা চাও, বেলা চাও, বেলা চাও, চাও চাও’ এবং ‘ইফ ইউ রিড দিস ইউ আর গে’।
এই মূল প্রমাণের পাশাপাশি টাইলার রবিনসন তার এক রুমমেটকে চ্যাটিং অ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে গুলি চালানোর কথা জানিয়েছিলেন।
কে এই টাইলার রবিনসন?
টাইলার পড়াশোনা করেছেন উটাহ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। ছাত্র হিসেবে বেশ ভালো ছিলেন তিনি। বৃত্তিও পেয়েছিলেন। তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল অনুযায়ী টাইলার রবিনসনের দুই ছোট ভাইও রয়েছে।
টাইলারের বাবা ম্যাট রবিনসন ২৭ বছর ধরে ওয়াশিংটন কাউন্টি শেরিফ বিভাগে কাজ করেন। চার্লিকে হত্যার পরে বাবার কাছেই নিজের অপরাধ স্বীকার করেছিলেন রবিনসন। পরে তার বাবার সহায়তায় পুলিশ তাকে নিরাপদে হেফাজতে নেয়।
রবিনসনের মা, অ্যাম্বার রবিনসন, ‘ইন্টারমাউন্টেন সাপোর্ট কোঅর্ডিনেশন সার্ভিসেস’-এ কাজ করেন। এই সংস্থায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে তিনি।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
