বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর পায়ের তলায় যেন সরষে দানা। যখনই মন চায় ‘রইল ঝোলা চলল ভোলা’ বলে বেরিয়ে পড়েন। কখনো তার সঙ্গে থাকেন মা শতরূপা স্যানাল, বড় বোন চিত্রাঙ্গদা শতরূপা। আবার কখনো তিনি একাই বেরিয়ে পড়েন। অভিনেত্রীর এবারের সঙ্গী তার হবু স্বামী সুমিত অরোরা।
সুমিত বলিউডের প্রথম শ্রেণির চিত্রনাট্যকার। তিনি ‘জওয়ান’, ‘স্ত্রী’, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর মতো হিট সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন।
এবার শোনা গেল, এ প্রেমিকযুগল বছরের শেষে নাকি বিয়ের পিঁড়িতেও বসতে চলেছেন। তার আগে নিজের জন্মদিন উপলক্ষে সুমিতকে নিয়ে প্রাক-মধুচন্দ্রিমায় ইউরোপ উড়ে গেছেন বড়পর্দার ‘ফুল্লরা’।
সত্যি নাকি?— একটি গণমাধ্যমের ফোনকলে এমন প্রশ্ন শুনে রসিকতায় ফেটে পড়েন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আমরা পরস্পরকে ছয় বছর ধরে চিনি। এরপরও প্রাক-মধুচন্দ্রিমার খুব প্রয়োজন?
ঋতাভরী জানান, রোজ যেখানে সকাল হয়, তার সেই শহর কলকাতাও খুবই সুন্দর। কিন্তু একটানা থাকতে থাকতে একেক সময় মনে হয়, তিনি যেন ‘কুয়োর ব্যাঙ’ হয়ে গেছেন। তখনই দম বন্ধ হয়ে আসে। তিনি ব্যাগ গুছিয়ে পথে নামেন। অচেনা রাস্তা, পথপ্রান্তর তাকে নতুন করে বাঁচার জীবনীশক্তি দেয়। তিনি টাটকা অক্সিজেনে ফুসফুস ভরে আবার চেনা কুঠুরিতে ফেরেন।
তিনি বলেন, এই যেমন বার্লিন। এমন একটি হোটেলের চিলেকোঠায় আমরা থাকছি, যেখানে চোখ মেললেই মাথার ওপরে কাচের জানালা। সেখান থেকে প্রায় গোটা শহরটাই দেখা যায়।
অভিনেত্রী বলেন, রবিবার ঘুম ভেঙে সেই দৃশ্য দেখে মনে হলো এই জায়গা স্বর্গের থেকে কম কিসে? তার পছন্দের আরেকটি জায়গা প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড। মাথায় মিকি মাউস টুপি পরে সেখানকার রাস্তাতেও ঘুরেছি। সঙ্গী সুমিত। অনেক ছবি ও ভিডিও তুলেছি। হবু স্বামী এগিয়ে গেলে আলতো করে ‘বাবু’ বলে ডেকে ফিরিয়েছি। সেই সম্বোধনও উপভোগ করেছেন অভিনেত্রীর অনুরাগীরা।
ঋতাভরী বলেন, আর পাঁচজন পর্যটকের মতো বেড়ানোর সময় তাড়াহুড়ো করেন না। যে শহরে মিউজিয়াম আছে, সে শহরে দরকার হলে ১০ দিনও কাটাই, যাতে কোনো কিছু মিস না করি। আমার কোনো তাড়া নেই। বেড়ানোটা যদি উপভোগই করতে না পারলাম, তাহলে আর কী করলাম?