বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট। পর পর দুই বলে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়। দলীয় ৮ রানে দুই ওপেনারকে হারালে জয়ের আশাও শেষ হয়ে যায়। চার নম্বরে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খানিক পরে সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির কারণে আগের দিন বেঁচে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে আজ আর রক্ষা হয়নি। মাহমুদউল্লাহর দলকে ৩৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে লিড নিয়েছে ক্যারিবীয়রা।
১৯৪ রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ দেড়শ পেরোয় সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া আফিফ হোসেনের ২৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছে মাত্র। বোলিং ইনিংস-ব্যাটিং ইনিংস পুরো ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়ে সহজে ম্যাচ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশ ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৮ রান। ডমিনিকায় টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের কঠিন লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের সংগ্রহ বড় হয় রোভম্যান পাওয়েলের শেষের ঝড়ে। মাত্র ২৮ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন এ ব্যাটার। ছয়-চারে মাঠ মাতিয়ে এনে দেন ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের সংগ্রহ।
পাওয়েল ছক্কা মারেন ছয়টি, চার মাত্র দুটি। দারুণ খেলতে থাকা এ ডানহাতি ইনিংসের শেষ বলটিতেও মারেন বিশাল একটি ছক্কা। দুইশর কাছাকাছি সংগ্রহ এনে দিতে আরও অবদান রাখেন দলটির ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। ৪৩ বলে ৫৭ রান করে আউট হন তিনি।
অধিনায়ক নিকোলাস পুরান খেলেন সময় নিয়ে। ৩০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। শেষ ওভারে ব্যাট করতে নামা ওডেন স্মিথ ৪ বল খেলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। পরের ওভার থেকেই শুরু রান তোলার গতি বাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৭ ওভারে ৯৩ রান যোগ করেন। বেশ খরুচে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ৩ ওভারে দেন ৪৬ রান। পাননি কোনো উইকেট।
প্রথম তিন ওভারে ১৫ রান খরচায় একটি উইকেট পাওয়া সাকিব আল হাসান নিজের শেষ ওভারে দিয়ে ফেলেন ২৩ রান। তিন ছক্কা ও একটি চার হজম করতে হয় এ বাঁহাতি স্পিনারকে।
শরিফুল ইসলাম ৪ ওভালে ৪০ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান কোটা শেষ করেন ৩৭ রানে। ইনিংসের ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে কোনো রান খরচ না করেই উইকেট নেন। পুরানকে এলবিডব্লিউ করে ভাঙেন জুটি। মেডেন উইকেট সেই বোলারকে পরে আর আনার সাহস করেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।