সিরাজুল ইসলাম, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে আলোচিত ফারুক হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচন, হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও
প্রধান আসামি রিপন ফকির (২৬) এবং মামলার তিন নম্বর আসামি মমিন ফকির (২৭) কে আটক করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল।
বৃহস্পতিবার (৩১অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম।
আটককৃত আসামি রিপন ফকির (২৬) উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মন্ডল পাড়ার রমজান ফকিরের ছেলে এবং একই এলাকার রমজান ফকিরের ছেলে মমিন ফকির (২৭)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল হক (এসআই (নিঃ)) সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ গোয়ালন্দঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া ৭নং ফেরীঘাট এলাকা থেকে গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে আসামি রিপন ফকিরকে আটক করে। এবং একই দিন রাত সোয়া দশটার দিকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানাধীন খলিল মন্ডলের হাট হইতে মোমিন ফকির কে আটক করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আসামি রিপন ফকির কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, মৃত ফারুক সরদার এর সাথে আগে থেকেই মাটির ব্যবসা নিয়ে বিরোধ ছিল। পরবর্তী সময়ে আবার সোহরাব মন্ডল পাড়া আক্কাস আলী স্কুলে এলাকার সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে ফুটবল খেলায় প্রতিযোগিতা হয়। উক্ত খেলায় আসামী রিপন ফকির মৃত ফারুক সরদারকে আমন্ত্রণ না করায় আসামী রিপন ফকির ও ফারুক সরদারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। উক্ত ফুটবল খেলায় খরচের টাকা উত্তোলনের জন্য ফুটবল খেলার খেলোয়াররা সহ উত্তর দৌলতদিয়া পোড়াভিটা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট হইতে ৮,০০০/-টাকা উত্তোলন করে। উক্ত বিষয়েও আসামী রিপন ও ফারুক সরদারদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজন সহ সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্ত গত ১২ অক্টোবর রাত সারে নয়টার দিকে মৃত ভিকটিম ফারুক সরদার ১৫/২০ জন বন্ধুসহ আসামী রিপন ফকিরের দৌলতদিয়া যৌনপল্লির ভিতরে থাকার দোকানে আক্রমন করে। আসামী রিপন ফকির কোন উপায়ান্তর না পেয়ে তাহার দোকানে থাকা ডাব কাটার ছোল হাতে নিয়া ভিকটিম মৃত ফারুক সরদারের সাথে থাকা অপর ভিকটিম আল আমিনকে কোপ দেয়। আল আমিন কোপ খেয়ে দৌড়ে পালাইয়া যায়। ভিকটিম মৃত ফারুক সরদার ও আসামী রিপন ফকিরের মধ্যে ধস্তাধস্তি করিলে রিপন ফকিরের দোকানের সামনে হইতে ভিকটিম ফারুক সরদারকে এলোপাথারী কোপাইয়া দৌড়াইয়া পোড়াভিটাস্থ বাঁশের সাকুর নিকট পানিতে ফেলে দেয়। আসামী রিপন ফকিরের স্বীকার উক্তিতে পোড়াভিটার সাকুর সামনে পানির মধ্যে থেকে হত্যায় ব্যাবহৃত সোল উদ্ধার করা হয়।