অনলাইনে প্রতারণা করে প্রায় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার মৃত আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম অজ্ঞাত ৭/৮জনের নামে মামলাটি করেন। অজ্ঞাত আসামিদের নাম পারিচয় না জানলেও তাদের নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও একাধিক ব্যাংকের হিসাব নম্বর এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম এজাহারে উল্লেখ করেছেন, একটি ওয়েবসাইড থেকে গত ২২ মার্চ টেলিগ্রামে লিংক দেয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ম্যাসেজ পাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন সময় টেলিগ্রামে আসামিদের সাথে কথা বলতেন। বলা হয় তাদের কাছ থেকে কাজ পাইতে হলে জামানত হিসাবে টাকা দিতে হবে। কাজ না করলে টাকা ফেরৎ দেয়া হবে। তিনি ওই দিন দুপুরে একটি নগদ নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠান।
আনুমানিক এক ঘন্টা পর তার কাছে জামানত ও পারিশ্রমিক বাবদ ১৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এতেই তিনি বিশ্বাস স্থাপন করেন। পরবর্তীতে জানানো হয় যদি এক লাখ টাকা জামানত রাখাতে পারে তাহলে আরো পারিশ্রমিক দেয়া হবে। তিনি সিটি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা ও ফেনী শাখায় ২৪ হাজার টাকা পাঠান।
এরপর নানা কথার জালে ফঁাসিয়ে বলা হয় জামানতের ফিগার এক লাখ টাকা না হলে পারিশ্রমিক পাঠানো যাচ্ছে না। তিনি তাদের কথায় বিভিন্ন সময় সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, বিকাশ, নগদসহ নানা মাধ্যমে মোট ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৫ টাকা পাঠান।
কিন্তু তার পরও জামানত না আসায় এবং তাদের কথাবার্তায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। তিনি তখন বুঝতে পারেন প্রতারকের খপ্পড়ে পড়েছেন। ফলে তিনি কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।