টঙ্গী থেকে কিশোরী অপহরণ মামলার পলাতক আসামী ১১ বছর পর গ্রেফতার – Daily Gazipur Online

টঙ্গী থেকে কিশোরী অপহরণ মামলার পলাতক আসামী ১১ বছর পর গ্রেফতার – Daily Gazipur Online

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ৬ জুলাই ২০২৩ জিএমপি’র টঙ্গী(পূর্ব) থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ জয়নাল আবেদীন বেপারী(৪৮), পিতা- মৃত শহীদ আলী বেপারী, থানা-গোসাইরহাট, জেলা-শরিয়তপুর’কে গ্রেফতার করে।
আসামীকে গ্রেফতারপূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উল্লিখিত মামলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর হতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে র‌্যাব-২ এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য,বিগত ২০১১ ইং সালে শরীয়তপুরের নড়িয়া থানাধীন বাংলাবাজার এলাকায় ইল্লার বাজার থেকে ১৫ বছরের কিশোরী মেয়েকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জনৈক মোঃ জয়নাল আবেদীন বেপারী(৪৮) অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়েটির পরিবার অনেক খোঁজা-খুঁজি করে মেয়েটিকে না পাওয়া গেলে পরবর্তীতে জানতে পারেন যে, মোঃ জয়নাল আবেদীন বেপারী তাদের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অতঃপর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মোঃ জয়নাল আবেদীন বেপারী’সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। নড়িয়া থানার মামলা নং-১, তারিখঃ ০২/১২/২০১১ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/২০০৩) এর ৭/৩০। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ভিকটিম মেয়েটিকে নড়িয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও আসামী মোঃ জয়নাল আবেদীন বেপারী কৌশলে পালিয়ে যায়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে অপহরণের সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/২০০৩) এর ৭ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঘটনার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামী মোঃ জয়নাল আবেদীন বেপারী এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শরীয়তপুর আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ০১ (এক) বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামী দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

Print Friendly, PDF & Email

Explore More Districts