কোটচাঁদপুরে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ : পাঁচজন আটক | দৈনিক মাথাভাঙ্গা

কোটচাঁদপুরে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ : পাঁচজন আটক | দৈনিক মাথাভাঙ্গা

 

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করেছে। একইসাথে ধারণকৃত ভিডিওসহ মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আটককৃতরা হলেন-বলুহর আদর্শপাড়ার লতিফ শেখের ছেলে জহির (৩৫), হাসপাতাল পাড়ার আবুল খায়েরের ছেলে মো. রমজান আলী (৩৮), শহরের বেনেপাড়ার মৃত মকছেদ আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৪৬), একই এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সোহেল চৌধুরী (৩৯) ও ব্রিজ ঘাট মোড়পাড়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেন ম-লের ছেলে জুলফিকার আলি ভুট্টো (৪২)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিবাদী রেজাউল ইসলাম পূর্বপরিচয়ের জের ধরে ভুক্তভোগী ওই নারীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেয়। দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আসামিরা টাকা দেয়ার কথা বলে বাদীকে ঘটনাস্থল রেজাউলের ড্রাগন বাগানে ডাকে। পরে সেখানে একটি টিনশেড ঘরের মধ্যে আসামিরা ওই নারীকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারণ করে এবং সাংবাদিক পরিচয়ে ওই নারীর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরই মধ্যে ওই নারীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আাসামিরা ১০ হাজার টাকা আদায় নেয়। বাকী টাকা না দিলে ভিডিও ফেসবুকসহ অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জানায়। বিষয়টি নির্বাহী অফিসার উছেন মে থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিনকে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদেরকে মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের বলুহর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে। পুলিশ সঞ্চয় নামে আর এক সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চাঁদাবাজিসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। কোটচাঁদপুর অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আাসামিরা ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন।


Explore More Districts