Facebook-এর লিক হওয়া ডেটা কোথায় রাখা আছে? এর থেকে কী সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি?

Facebook-এর লিক হওয়া ডেটা কোথায় রাখা আছে? এর থেকে কী সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি?

#নয়াদিল্লি: Facebook বার বার বলছে- যে ডেটা অনলাইনে লিক হয়েছে, তা ২০১৯ সালের! কিন্তু তাতে বিতর্ক থামছে না। কেন না, এর মধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চাররা হাতেনাতে প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে ওই সব ডেটার মধ্যে কয়েকটি ফোন নম্বর, কিছু মেইল আইডি এখনও পর্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। এই জায়গায় এসে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে- এর জেরে ঠিক কী ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন ইউজাররা? সমান গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এটাও- ওই লিক হওয়া ডেটা আপাতত কোথায় জমা আছে?

ভারতীয় সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চার রাজশেখর রাজাহারিয়া এই প্রসঙ্গে তুলে ধরেছেন নিজস্ব বিশ্লেষণ। কী বলছেন তিনি, জেনে নেওয়া যাক এক এক করে!

১. ডেটা লিক হল কী করে?

সন্দেহ নেই, এই খটকা সবার আগে দূর করা প্রয়োজন। রাজশেখর জানিয়েছেন যে ডেটা স্ক্র্যাপিং পদ্ধতির সাহায্যে এই তথ্য হাতে পেয়েছে হ্যাকাররা। কেনও ওয়েবসাইটের তথ্য যখন কোনও কমপিউটারের ফাইলে ইমপোর্ট করা হয়, স্ই পদ্ধতিকে বলা হয় ডেটা স্ক্র্যাপিং। রাজাহারিয়ার এই মতামতের প্রমাণ রয়েছে সংস্থার ব্লগের প্রতিবেদনেও। Facebook জানিয়েছে যে ডেটা স্ক্র্যাপড হওয়া এই তথ্য ২০১৯ সালের।

তবে রাজশেখরের বক্তব্য- ইউজারের নাম, Facebook আইডি, জন্মতারিখ, লোকেশন, ফোন নম্বর, মেইল আইডি- এই সব খুব সম্ভবত একেবারে হাতে পায়নি হ্যাকাররা, পেয়েছে ধাপে ধাপে। তাঁর দাবি, অনেক সময়েই সংস্থা কোনও থার্ড পার্টিকে কাজের জন্য কিছু তথ্য দিয়ে থাকে। Facebook-ও সে ভাবেই বেশ কয়েকটি সংস্থার মধ্যে এই তথ্য ভাগ করে দিয়েছিল, আশা করেছিল যে তারা তথ্যসুরক্ষার ব্যাপারটি বজায় রাখতে পারবে। কিন্তু কার্যত তা হয়নি, হ্যাকাররা সেই থার্ড পার্টির কাছ থেকে তথ্যগুলো হাতিয়ে নিয়েছে।

২. লিক হওয়া এই ডেটা এখন কোথায় রয়েছে?

আন্তর্জাতিক স্তরের সাইার সিকিউরিটি রিসার্চাররা জানিয়েছিলেন যে সেই ২০১৯ সাল থেকে এই ডেটা বিক্রি করেছে হ্যাকাররা। এই ২০২১ সালে এসে নতুন করে তা বিক্রি করা সম্ভব নয়, সেই জন্য তারা সবটা আপলোড করে রেখেছে ওয়েবসাইটে, যাতে যে কেউ তা ডাউনলোড করে নিতে পারে। এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন রাজাহারিয়াও। বলেছেন যে আপাতত লিক হওয়া তথ্যগুলো Dark Web নামের এক ওয়েবসাইটে আপলোড করে রাখা হয়েছে।

৩. ইউজারদের এর পরিণামে কী ঝুঁকি পোহাতে হতে পারে?

রাজাহারিয়ার বক্তব্য, যেহেতু ব্যাঙ্কের কোনও তথ্য লিক হয়নি, তাই প্রাথমিক ভাবে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে হ্যাকাররা নানা ফিশিং মেইল পাঠিয়ে বা স্প্যাম কলের মাধ্যমে ইউজারের ব্যাঙ্কের তথ্য হাতানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই এই সবে পাত্তা না দেওয়াটাই উচিত হবে।

Explore More Districts