Cyber Crime: কী ভাবে হয়, প্রতিকারের জন্যই বা কী উপায় রয়েছে জানুন বিশদে

Cyber Crime: কী ভাবে হয়, প্রতিকারের জন্যই বা কী উপায় রয়েছে জানুন বিশদে

#নয়াদিল্লি: সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) শব্দদু’টোর সঙ্গে আমাদের পরিচিতির বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল। যত প্রযুক্তি উন্নত হয়ে উঠছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে এই জাতীয় অপরাধ। বিষয়টি আদতে কী, এর আওতায় কোন কোন ঘটনা পড়ে আর তার প্রতিকারের উপায় কী, এই সব নিয়ে আলোচনা করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র (Prachi Mishra)।

সাইবার ক্রাইম কাকে বলে?

কমপিউটার বা মোবাইল ফোন কাজে লাগিয়ে যে ধরনের অপরাধ সঙ্ঘটিত হয়, তাকেই বলা হয় সাইবার ক্রাইম। এক দিকে যেমন এই ধরনের অপরাধে কমপিউটার এবং মোবাইল ফোনকে কাজে লাগানো হয়, তেমনই আবার অপরাধীদের নিশানাতেও থাকে অন্যের কমপিউটার আর মোবাইল ফোন।

কোন কোন উপায় কাজে লাগিয়ে সাইবার ক্রাইম সঙ্ঘটিত হয়ে থাকে ?

কোনও কমপিউটার বা নেটওয়ার্কের আনঅথরাইজড দখল নেওয়া বা হ্যাকিং, ইলেকট্রনিক ফর্মে রয়েছে এমন তথ্য চুরি করা, মেইল বম্বিং, সালামি অ্যাটাক, সার্ভিস ডিনায়াল, ভাইরাস অ্যাটাক, লজিক বম্ব, ইন্টারনেট টাইম থেফ্ট- এই সব উপায় কাজে লাগিয়ে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা ঘটে।

সাইবার ক্রাইম কত রকমের হয়ে থাকে ?

সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধ, একে সাইবার টেররিজম বলে। সাইবার পর্নোগ্রাফি, সাইবার স্টকিং, সাইবার ডিফেমেশনের মতো ঘটনা পড়ে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের তালিকায়। অনলাইন জুয়া, ফিশিং, কপিরাইট উল্লঙ্ঘণ, ক্রেডিট কার্ড ফ্রডের মতো ঘটনা পড়ে সম্পত্তি সংক্রান্ত সাইবার ক্রাইমের আওতায়।

আইপি স্পুফিং কী ?

এটিও এক ধরনের সাইবার ক্রাইম। এখানে কোনও বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোনও বিশেষ কমপিউটারে আইপি অ্যাড্রেস পাঠিয়ে থাকে হ্যাকারেরা।

ফিশিং কী ?

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্যের মতো বিষয় চুরি করা হয় কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে সামনে রেখে।

সাইবার ক্রাইম নিয়ে আইন কোন কোন ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেয় ?

২০০০ সালের ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট অনুসারে থেফ্ট, ফ্রড, ফোরজারি, ডিফেমেশন, মিসচিফ- এই সবক’টির আওতায় যে সব অপরাধ ঘটে, তার প্রতিকার করে সাইবার ক্রাইম আইন। কমপিউটার অ্যাবিউজের ক্ষেত্রেও আজকাল সুরক্ষা দেয় সাইবার ক্রাইম আইন।

সাইবার ক্রাইমের রিপোর্ট কী ভাবে করতে হয় ?

এক্ষেত্রে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং অপরাধের ধরন উল্লেখ করে চিঠি দিতে হয় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টেগেশন সেলের প্রধানকে। তবে প্রয়োজনের গুরুত্ব অনুসারে সরাসরি পুলিশ স্টেশনেও রিপোর্ট করা যায়।

সাইবারস্টকিং বিষয়টি কী ?

কোনও ব্যক্তি যদি এক পবা একাধিক প্রোফাইলের মাধ্যমে অন্য কোনও ব্যক্তির কার্যকলাপ সামাজিক নেটমাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে তা সাইবারস্টকিংয়ের আওতায় পড়ে।

সাইবার ক্রাইম কোন ক্ষেত্রে ফিনান্সিয়াল ক্রাইমে পরিণত হয় ?

প্রযুক্তি ব্যবহার করে যখন অর্থ তছরুপ করা হয়, যেমন ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জেনে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বের করে নেওয়া, তখন তা একই সঙ্গে সাইবার এবং ফিনান্সিয়াল ক্রাইম বলে বিবেচিত হয়।

Explore More Districts