– Advertisement –
ঝিনাইগাতী(শেরপুর) প্রতিনিধি : আসন্ন ৫ম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি অংশ বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম পলাশের পক্ষে মাঠে নামার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করছেন, নৌকার মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালামের নেতৃত্বে ৯টি ওয়ার্ডের ১৪জন সভাপতি ও সম্পাদক সরাসরি বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন নৌকার বিরুদ্ধে। অথচ এই নেতারাই বিগত সময়ে দলীয় সকল সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীদের মধ্যে দলের এই সুবিধাভোগী নেতাকর্মিদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠছে। অপরদিকে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন অন্যান্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ , কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ সহ আওয়ামীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন।
নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু বলেন, “আমি বিগত নির্বাচনে নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করি। গত ৫বছর এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করেছি। নেতাকর্মিদের মুল্যায়ন করা সহ আমি দু:স্থ, অসহায়দের পাশে থেকেছি। আমার ইউনিয়নে কাউকে কোন দালালী করতে দেইনি। গত ৫ বছরে আমার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ আনতে পারেনি। সকলের বিপদে পাশে থেকেছি। সবকিছু মিলিয়ে অনেক যাচাই বাছায়ের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে অদৃশ্য কোন শক্তির ইশারায় নৌকার বিজয় ঠেকাতে উল্লেখিত ব্যাক্তি কেহ মাঠে আসছে না। এ বিষয়ে আমি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএমএ ওয়ারেজ নাইম জানান, “যাহারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে যুক্ত তাহারা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যেতে পারেনা। ইতিমধ্যে আমি বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। তারা ফিরে না আসলে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। “
– Advertisement –