বাংলাদেশ: পুত্রশোক বোধহয় একেই বলে! করোনাভাইরাসে (Coronavirus) সংক্রমিত হয়ে ছেলের মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঠানটুলা গ্রামে। একই দিনে মা ও ছেলের মৃত্যুতে গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রাজনগর উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী সোহেল বখসের (৩২)। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোহেল করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই রবিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সেই খবর বাড়িতে পৌঁছতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সোহেলের মা দুলবাহার বখস (৬২)। আর ছেলের মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার রাত আটটা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগে সোহেল বখস, তাঁর মা, বাবা সহ গোটা পরিবারই করোনায় আক্রান্ত হন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সকলেই ১৬ মে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। দিন তিনেক আগে সবার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু করোনা–পরবর্তী কিছুটা উপসর্গ ছিল সকলেরই। আর সেই সময় থেকেই সোহেল বখসের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তিনি মারা যান।
ভারতের মতো অতটাও পরিস্থিতি খারাপ না হলেও বাংলাদেশেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। পরিস্থিতি দেখে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও তাতে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। লকডাউন বাড়লেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে আন্তঃজেলা বাস। রবিবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
নতুন লকডাউনের শিথিলতায় হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। তবে হোটেল, রেস্তোরাঁগুলিতে মোট আসনের ৫০ শতাংশের বেশি ক্রেতা থাকা চলবে না বলেই সরকার নির্দেশ দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, সকলকে মাস্ক পরতে হবে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।