উপজেলা করেসপন্ডেন্ট : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় খরিপ-২ মৌসুমে আগাম জাতের উচ্চফলনশীল ব্রিধান-৪৯ জাতের আমন ধান নমুনা শস্য কর্তন উৎসবে মাঠে নেমে ধান কেটে উদ্বোধন করলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় কৃষি সম্প্রসারণ ঈশ্বরদীর আয়োজনে এ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ঢুলটি গ্রামের সফল কৃষক মনিরুল ইসলামের জমির পতিরাজপুর ব্লকের জমিতে উচ্চফলনশীল ওই আগাম জাতের আমন ধানের নমুনা শস্য কর্তণ উৎসবে ধান কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা খামারবাড়ির মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ইউসুফ রানা মণ্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কুমার সরকার। আটঘরিয়ার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ, ঈশ্বরদীর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা মণ্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনা অঞ্চলের বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা ড: আজিজুর রহমান, বগুড়া অঞ্চলের প্রকল্প মনিটরিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, হটিকার্লচার সেন্টার পাবনা সেন্টারের উপ-পরিচালক এ,এ,এম,গোলাম ফারুক হোসেন, বেড়া উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা মোতমাইন্না, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ঈশ্বরদীর পতিরাজপুর ব্লকের আলিউজ্জামান রকেট, উপ-সহকারী উদ্ভীদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এখলাছুর রহমান।
অনূভূতি জানিয়ে কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান, আগে অন্য জাতের ফসল উৎপাদন করেছি এই জমিতে। কৃষি অফিসের সহায়তা পেয়ে তাদের পরামর্শে আমি পৌনে ২ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৪৯ আবাদ করেছি। অন্য জাতের ধান চাষ করেছি ফলন বেশি হয় না। এই ধানে এক বিঘা জমিতে ২০ মনের বেশি ধান হয়। একটি শীষে ২৫০ থেকে ৩০০ ধান থাকে বলে বেশি ফলন পাওয়া যায়। শুধু তাই না, অন্য জাতের ধান ঘরে উঠতে অগ্রহায়ণের শেষে ফসল ঘরে তুলতে হয়। তখন সরিশা বোনার আর সময় থাকে না। আগাম জাতের ব্রিধান-৪৯ ফসল ঘরে তুলে অন্য ফসল দুইবার লাগালো সম্ভব।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার জানান, ঈশ্বরদীর মুলাডুলির পতিরাজপুর ব্লকে উচ্চফলনশীল আগাম আমন জাত ব্রিধান-৪৯ অনেকটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই আগাম জাতের ধান ১০০-১১০ দিনে ঘরে তুলতে পারে কৃষকেরা। ধান কাটার পর আবার সরিশা বুনতে পারবে। সরিশার ফলন ঘরে তুলে পুনরায় আবার ধান চাষ করতে পারবে। অর্থাৎ একই জমিতে তিনবার ফসল উৎপন্ন করা সম্ভব। ব্রিধান ৪৯ নতুন জাত নয়, তবে এটি ভালো একটা জাত। ব্রিধান-৪৯ আমন আগাম জাতের একটি উচ্চফলনশীল আমন ধান হওয়ার কারণে এই অঞ্চলের অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।