শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি জিয়াউর রহমানঃ বগুড়ার শাজাহানপুরে সুদের টাকা দিতে না পারায় মারপিট ও ইট দিয়ে কান থেতলে দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়াকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২।
মজনু মিয়া শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামকৃঞ্চপুর তালতা গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
র্যাব-১২ অফিস সূত্রে জানা যায়, সুদের টাকা দিতে না পারায় মারপিট ও কান কেটে নেয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে মাঠে নামে র্যাব-১২। একপর্যায়ে বুধবার সন্ধ্যার দিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলা থেকে মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামকৃঞ্চপুর উত্তর পাড়া গ্রামের অটোটেম্পু চালক এনামুল হকের স্ত্রী শারিরিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পরেন। কিন্তু দরিদ্র স্বামীর পক্ষে চিকিৎসার খরচ যোগানো সম্ভব হচ্ছিল না। উপায়ন্তর না পেয়ে তিন মাস আগে নিজের ব্যবহৃত আট আনি সোনার কানের দুল বন্ধক রেখে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা সুদ দেয়ার শর্তে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছিলেন নাজমা বেগম। তিন সপ্তাহ সুদের টাকা দিতে না পারায় গত মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়া তার ৪/৫ জন সহযোগী নিয়ে এসে নাজমা বেগমের স্বামী এনামুল হককে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ইট দিয়ে কান থেতলে দেয়। এঘটনায় নাজমা বেগম বাদি হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।