ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ প্রধান রাস্তার সংলগ্ন স্থানে, রাস্তার পাশে, কখনো রাস্তা উপর, বালি স্তুপাকারে রাখা আছে। কখনো ভবন নির্মাণ সামগ্রী, আবার কখনো ভবন নির্মাণ কাজের ডাস্ট দিনের পর দিন ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তায়। সামন্য বৃষ্টি হলেই পানি নিষ্কাশনের পথে ওই সামগ্রীতে বাঁধা পেয়ে রাস্তায় পানি জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রাস্তা।
আবার কখনো প্রবল বাতাসে রাস্তার পাশে রাখা স্তুপাকারের বালি পথচারীর চোখে প্রবেশ করে তাদের কেউ কেউ হচ্ছেন দূর্ঘটনার শিকার। ফলে বেড়েছে জনদূভোর্গ। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রথম শ্রেণির ভাঙ্গুড়া পৌর সভার প্রধান সড়ক গুলি সরেজমিন ঘুরলে এমন দৃশ্য যে কারো চোখেই পড়বে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এমন অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
রবিবার সরেজমিন, ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের ব্যস্ততম প্রধান রাস্তাগুলি মধ্যে উত্তর সারুটিয়া টু কালিবাড়ি রাস্তা, মাস্টারপাড়া টু মন্ডলমোড় রাস্তার, সরকারি হাজী জামাল উদ্দীন ডিগ্রী কলেজ মোড় টু উপজেলা রাস্তা, ভাঙ্গুড়া বেইলী ব্রিজ টু সরকারি হাজী জামাল উদ্দীন কলেজ চৌরাস্তা মোড় ঘুর দেখা গেছে কখনো রাস্তার উপর বালিসহ নির্মাণ সামগ্রী নিজের ইচ্ছা মতো রাখা আছে। এ যোনো দেখার কেউ নেই।
বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তার পাশে রাখা ব্যবসায়ীদের বালির স্তুপের কারণে রাস্তার পানি জমে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়াসহ পৌর এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পৌর সদরের একাধিক বালির স্তুপের পাশে পৌরসভার পক্ষ থেকে সাইন বোর্ড টাঙিয়ে বালু বিক্রয় নিষেধ করলেও ওই সাইন বোর্ডে প্রদর্শিত নিদের্শনা কেউ তোয়াক্কা করছেন না। তবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এমন অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এবিষয়ে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, পৌর সদরের মধ্যে প্রধান সড়কের পাশে বালু রেখে বালুর ব্যবসা করার বিধান নেই। প্রধান সড়কের এজিং থেকে ১৫ ফুট দুরে বালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অল্প দিনের মধ্যে সুন্দর পরিবেশ রক্ষায় পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।