সবার জন্য নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান তারেক রহমানের

সবার জন্য নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান তারেক রহমানের

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সবার জন্য নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায় এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। এখন সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি মঞ্চে ওঠেন এবং ৩টা ৫৭ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, “প্রিয় বাংলাদেশ।”
তারেক রহমান বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যে বাংলাদেশ একজন মায়ের চোখে নিরাপদ। যেখানে নারী, পুরুষ, শিশু—যেই হোক না কেন—নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে।” তিনি আরও বলেন, পাহাড় ও সমতলের মানুষ, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান—সবাইকে নিয়ে একটি নিরাপদ ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির লক্ষ্য।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। ১৯৭১ ও সাম্প্রতিক সময়ে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।” তিনি শান্তি ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ভবিষ্যতে দেশ গড়ার প্রধান দায়িত্ব তরুণদেরই নিতে হবে। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি তিনবার উচ্চারণ করেন, “আমরা দেশের শান্তি চাই।”
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর নেতাকে কাছে পেয়ে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং পুরো এলাকা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে।
গণসংবর্ধনা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারেক রহমান অসুস্থ মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তার গাড়িবহর হাসপাতালে পৌঁছায়। এ সময় হাসপাতালের আশপাশে প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখতে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Explore More Districts