জোবায়ের প্রাণ দিলেন, এবার কি রক্ষা পাবে ফসলি জমি

জোবায়ের প্রাণ দিলেন, এবার
কি রক্ষা পাবে ফসলি জমি

১. কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষতি হয়।

• চাষযোগ্য জমি স্থায়ীভাবে কমে যায়, ফলে ধান, সবজি ও অন্যান্য খাদ্যশস্য উৎপাদন হ্রাস পায়।

• দেশে আবাদি জমি ইতিমধ্যে কমছে; পুকুর খনন এই সংকট আরও বাড়ায়।

• স্থানীয় খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষিজীবীদের জীবিকা ঝুঁকিতে পড়ে।

২. পানি ও মাটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

• পুকুরের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে যেতে পারে।

• আশপাশের জমিতে জলাবদ্ধতা বা অতিরিক্ত আর্দ্রতা সৃষ্টি হয়ে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

• মাটির প্রাকৃতিক গঠন নষ্ট হয়ে চাষের যোগ্যতা হারায়।

৩. পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়।

• এক ফসলি পুকুরে রূপান্তরের ফলে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়।

• অতিরিক্ত মাছ চাষে ব্যবহৃত রাসায়নিক খাদ্য ও ওষুধ পানি ও মাটি দূষিত করতে পারে।

• আশপাশের গাছপালা ও উপকারী পোকামাকড়ের আবাস নষ্ট হয়।

৪. সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা।

• পুকুর কাটার সুফল সাধারণত জমির মালিক পেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হন আশপাশের কৃষক।

• জমি নিয়ে বিরোধ, সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।

• প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা জমি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন।

৫. আইন ও নীতিগত সমস্যা হয়।

• বাংলাদেশে উর্বর কৃষিজমিতে অনুমতি ছাড়া পুকুর খনন আইনগতভাবে সীমিত বা নিষিদ্ধ। ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন না করে পুকুর খনন করলে জরিমানা বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।

Explore More Districts