প্রশ্ন জাগে, প্রাক্কলন কি বাস্তবসম্মত ছিল? নাকি শুরু থেকেই উদাসীনতা ও দায়সারা মানসিকতা প্রকল্পটিকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে?
এই প্রশাসনিক ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় শিকার জমির মালিকেরা। ভূমি অধিগ্রহণ আইনের নোটিশ ঝুলে আছে বছরের পর বছর, অথচ ক্ষতিপূরণের টাকা নেই। ফলে মানুষ ঘর মেরামত করতে পারে না, জমি বিক্রি করতে পারে না, জীবনের স্বাভাবিক সিদ্ধান্তগুলো আটকে যায় অনিশ্চয়তার দেয়ালে। এটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধের চরম ঘাটতির দিকেই আঙুল তোলে।
ভোগান্তির আরেক প্রান্তে রয়েছে সড়ক ব্যবহারকারীরা। খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। সময় নষ্ট হচ্ছে, খরচ বাড়ছে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। একটি আঞ্চলিক সড়কের এই দশা শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়; এটি জাতীয় অর্থনীতির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।


