প্রকাশ্যে বিএনপির অন্তদ্বর্ন্দ, বিজয় দিবসে পৃথক কর্মসূচি পালন

প্রকাশ্যে বিএনপির অন্তদ্বর্ন্দ, বিজয় দিবসে পৃথক কর্মসূচি পালন

প্রকাশ্যে বিএনপির অন্তদ্বর্ন্দ, বিজয় দিবসে পৃথক কর্মসূচি পালন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিএনপির গ্রুপিং প্রকাশ্যে রূপ ধারণ করছে।

বিএনপির বিশ্লেষক ও সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মতে বড়লেখা বিএনপির গৃহদাহ যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, এখন কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া দলে ঐক্য ফেরানোর কোনো পথ খোলা নেই।

এদিকে ১৬ ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে মহান বিজয় দিবসে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুর নেতৃত্বে তাঁর গ্রুপ বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে। বিকেলে অপর দুই গ্রুপ (মরহুম এবাদুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী ও শরীফুল হক সাজুর অনুসারী) ঐক্যবদ্ধভাবে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করেন। এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে উপজেলা বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্ব।

এদিন দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির ব্যানারে নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু নেতৃত্ব দিয়ে অনুসারীদের নিয়ে বড়লেখা পৌর শহরে বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা করেন। ওই বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস শহীদ খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু, সিনিয়র সহসভাপতি নছিব আলী, সাবেক সহসভাপতি আলাল উদ্দিন, সাবেক আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ ললনসহ পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে বিএনপির মনোনয়ন-বঞ্চিত শরীফুল হক সাজুর নেতৃত্বে বিকেলে পৌর বিএনপির ব্যানারে পৌর শহরে বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুজিবুর রাজা চৌধুরী, পৌর বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামছুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, সাবেক সদস্য আব্দুল হাফিজ চৌধুরী আবু, সিনিয়র বিএনপি নেতা সেলিম চৌধুরী, হারুনুর রশীদ, মহিলা দলের সাবেক সভাপতি আমিনা বেগম ডলি, কাতার বিএনপির নেতা আব্বাস উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদির পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রায়হান মুজিব, সদস্যসচিব আব্দুল মালিক প্রমুখ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র ও তরুণ নেতা জানান, বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ও তাঁর অনুসারীরা দলে যে দূরত্ব তৈরি করেছেন এবং বর্তমানে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, এই মুহূর্তে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ব্যতীত তা নিরসনের কোনো সম্ভাবনা নেই। আর এর প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচনে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু বলেন, নমিনেশন দাখিলের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দলের ভেতরে গ্রুপিং থাকতে পারে। তবে যারা প্রকৃত বিএনপির রাজনীতি করে, তারা কখনো দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করবে না। তিনি আরোও বলেন, কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি দলের ভেতরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। গ্রুপিং নিরসনে কেন্দ্র সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব দিলেও তারা এখনো সফল হতে পারেননি। তিনি আশা প্রকাশ করেন দ্রুত কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে এবং সবাই একসাথে দলের জন্য কাজ করবে।

Explore More Districts