
ঢাকা, ০৯ ডিসেম্বর – দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ১৩ জন সাবেক সচিবকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম দায়ের করেন। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারি অধিগ্রহণকৃত জমি এবং প্রাপ্ত সুবিধাগুলো অভিযুক্তরা বেআইনিভাবে ব্যবহার করেছেন। এ ধারা ফ্ল্যাট নির্মাণ ও দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদানের মাধ্যমে সরকারি সম্পদকে ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ড প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জনকল্যাণমূলক উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব কামাল উদ্দীন আহমদ, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুল জলিল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক সিএএজি ও বর্তমান সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক মিজ জুয়েনা আজিজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সাবেক সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
দুদক জানিয়েছে, অভিযুক্তরা সরকারি সম্পদকে তাদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যবহার করেছেন। ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদানের মাধ্যমে সরকারি সম্পদের অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমি পুনর্বাসনের প্রকল্প উদ্দেশ্যের বিপরীতে ব্যবহার করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের অনিয়ম শুধু সরকারি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং দেশের বৃহৎ অবকাঠামোগত প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা নষ্ট করছে।
দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “সরকারি প্রকল্পের সম্পদ অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এনএন/ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫



