পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ। সেপ্টেম্বর মাস ছিল শুল্ক কার্যকর হওয়ার প্রথম পূর্ণ মাস। ওই মাসে ভারতের পণ্য আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি বেড়ে ৩২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। এটি ছিল গত ১৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি। আগস্টে এ ঘাটতি ছিল ২৬ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার।
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। অক্টোবর মাসে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। আগের বছরের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি কমে যায় ৯ শতাংশ।
এটি শুধু পরিসংখ্যানের গল্প নয়; এর পেছনে বাস্তব মানুষের কষ্ট লুকিয়ে আছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমনির্ভর শিল্পগুলো। টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, চামড়া, রত্ন ও গয়না, জুতা, হস্তশিল্প এবং সামুদ্রিক খাবার খাতে ভয়াবহ অবস্থায় পড়েছে।
এসব খাতে কোটি কোটি মানুষ কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেক নারী ও প্রথম প্রজন্মের শিল্পশ্রমিকও আছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার যখন ভূরাজনৈতিক খেলায় ব্যস্ত, তখন ভারতের এই শ্রমিকেরা কীভাবে তাঁদের পরিবারের খাবার জোগাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন।

