ইসলামি শিষ্টাচারের অংশ হিসেবে একজন মুমিনকে হাসির আধিক্য থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, অতিরিক্ত হাসি অন্তরের কোমলতা নষ্ট করে এবং তাকে কঠিন করে তোলে।
কোরআনে কঠোর হৃদয়ের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে, “কাজেই দুর্ভোগ তাদের জন্য, যাদের অন্তর আল্লাহর জিকির (স্মরণ) থেকে কঠিন হয়ে গেছে।” (সুরা যুমার, আয়াত: ২২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের সঙ্গে কথা বলার সময় গাম্ভীর্য বজায় রাখতেন এবং তিনি নিজে কম হাসতেন। তিনি এমন এক কঠিন সত্যের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, যা মানুষকে হাসির পরিবর্তে ক্রন্দনে রত করে।
নবীজি (সা.) বলেন, “আমি যা জানি, তোমরা যদি তা জানতে, তাহলে তোমরা কম হাসতে এবং বেশি কাঁদতে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪৮৫)
এই হাদিসের মাধ্যমে রাসুল (সা.) পরকালের ভয়াবহতা, আল্লাহর মহত্ত্ব এবং মানুষের জন্য নির্ধারিত পরীক্ষার কথা তুলে ধরেছেন। এই সত্য অনুধাবন করলে হৃদয় স্বাভাবিকভাবেই হাসির পরিবর্তে আল্লাহর দিকে মনোযোগী হয় এবং বিনয়ী হয়।
মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত, নিজেদের অন্তরকে সুস্থ ও সজীব রাখতে হাসির আধিক্য থেকে বিরত থাকা। নামাজের সময় খুশু-খুজু বা বিনয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে, যেন ইবাদতের উদ্দেশ্য পূর্ণ হয় এবং তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।


