কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভাতিজার ঘুষি ও লাথির আথাতে মোহাম্মদ কালু শাহ্ (৮০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভাতিজা আলী আহমদসহ দুইজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের কাছ থেকে ভাতিজাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয় ক্ষুব্ধ জনতা।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আটকদের ফের হেফাজতে নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে পুলিশ। অপরদিকে নিহত কালু শাহ্’র মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের শাহ্ ওমরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর উত্তেজিত গ্রামবাসী অভিযুক্ত ভাতিজা আলী আহমদের (৬৮) বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
নিহত মোহাম্মদ কালু শাহ্ এস এম চর (শাহ্ উমরাবাদ) গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে। আর অভিযুক্ত আলী আহমদ একই গ্রামের সুরত আফজালের ছেলে। তারা সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান- জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচা মোহাম্মদ কালুর সঙ্গে আপন ভাতিজা আলী আহমদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত আলী আহমদ বৃদ্ধ মোহাম্মদ কালুকে বুকে ঘুষি ও লাথি মারেন। এতে তিনি আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান।
স্থানীয়রা তাকে ধরে চকরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালুকে মৃত ঘোষণা করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত আলী আহমদের বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর আলী আহমদসহ অভিযুক্ত দুইজনকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় ক্ষুব্ধ জনতা আলী আহমদকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার ভাতিজার পিটনিতে চাচার মৃত্যু হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত আলী আহমদসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


