
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামগতি বাজার সংলগ্ন খালটি দখল ও দূষণে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনার স্তুপে প্রায় মজে গেছে খালটি। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বছরের পর বছর এভাবে চলতে থাকায় খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। তাই শুকনো মওসুমে খালটি দখল মুক্ত করে দ্রুত তা সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, খালের ওপর দোকানপাট হওয়াতে পানি নিস্কাশনের জায়গা নেই। যে যার মত করে প্রতিবছর দখল নিচ্ছে ফলে বাড়ছে জলাবদ্ধতা আর ভোগান্তি। দীর্ঘদিন ধরেই খালের অস্তিত্ব সঙ্কটে। বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে করে ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। দখলদারদের উচ্ছেদে প্রশাসনও কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না, অন্যদিকে হচ্ছে না খালটি সংস্কার। বর্ষায় আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। ওইসময় স্থানীয়ভাবে ও প্রশাসনকে জানালেও বর্ষার অজুহাত দেখান। বর্ষা মওসুম চলে গেলে তাদের আর কোন খবর থাকে না। তাই এখন দ্রুত খালটির অস্তিত্ব রক্ষায় প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে খালটি সংস্কারের দাবী তাদের।
বাজারের ব্যবসায়ী বিপ্লব মজুদার জানান, খালটি মজে যাওয়ার কারণে বাজারের পানি নামতে পারে না, ফলে অল্প বৃষ্টিতেও আমার দোকানে পানি ঢুকে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আমার দোকানের ভিতর দিয়ে পানি গড়িয়ে খালে প্রবেশ করে। বর্ষায় জলাবন্ধতা এড়াতে এখন শুকনো মওসুমে খালটি সংস্কার করা খুবই জরুরি। নচেৎ আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকবে না ।
বড়খেরী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, অবৈধ দখলদারদের বারবার সর্তক করা হয়েছে। উচ্ছেদের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানও হচ্ছে না, খাল সংস্কারও হচ্ছে না, ফলে বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে দখলদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রæত অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শিগগির উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

