আমাদের দেশে রুটি ও পরোটার পরেই পাউরুটির ব্যবহার বেশি দেখা যায়। সকালের নাস্তা বা সন্ধ্যার স্ন্যাক হিসেবে পাউরুটি থাকলে সহজেই নানা ধরনের প্রস্তুতি করা যায়। তবে ফ্রিজে রাখলে পাউরুটি দ্রুত শক্ত হয়ে যায় এবং স্বাদও বদলে যায়। আবার বাতাসে বেশি সময় থাকলে দ্রুতই এর ওপর ছত্রাক দেখা দিতে পারে। সবুজ বা বাদামি এ ছত্রাকের নাম ‘রাইজোপাস স্টলোনিফার’। এটি খুব বেশি বিষাক্ত না হলেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর—পেটে ব্যথা, বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে।


তাই পাউরুটি দীর্ঘদিন নরম ও তাজা রাখতে হলে বাতাস, আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে স্বাদও অক্ষুণ্ন থাকে।
কীভাবে পাউরুটি দীর্ঘদিন তাজা ও নরম রাখবেন—
১. পাউরুটি সরাসরি রোদ বা আর্দ্রতা থেকে দূরে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। প্যাকেট খোলা থাকলে কাগজের ব্যাগ বা ব্রাউন পেপারে মুড়ে রাখা ভালো।
২. কয়েক দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে বায়ুনিরুদ্ধ পাত্র বা জিপ লক ব্যাগ ব্যবহার করুন। এতে ৩–৪ দিন পাউরুটি নরম থাকে।
৩. চাইলে ব্রেড বাক্সেও রাখতে পারেন। বাক্সে ছোট একটি আপেলের টুকরো রাখলে পাউরুটি আরও তাজা থাকে, তবে দুই দিনের বেশি রাখা উচিত নয়।
৪. ৫–৬ দিন রাখতে হলে স্লাইসগুলো অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে রাখুন। সাত দিনের বেশি সংরক্ষণের প্রয়োজন হলে ফয়েল বা বায়ুনিরুদ্ধ পাত্রে ফ্রিজে রাখুন।
৫. ফ্রিজে রাখা পাউরুটি শক্ত হয়ে গেলে সুতির কাপড়ে মুড়ে ১০–১৫ মিনিট গরম ভাপে রাখুন। এতে তা আবার নরম হয়ে যাবে।
৬. পাউরুটি আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি হয়, যার ইস্ট দ্রুত নষ্ট হয়। ফ্রিজে রাখলে পাউরুটির ভেতরের স্টার্চের অণু জমে ক্রিস্টালের মতো হয়, ফলে তা দ্রুত শক্ত হয়ে যায় এবং পুষ্টিগুণ কমে যায়। দু–এক দিনের জন্য রাখতে হলে রান্নাঘরেই রাখা ভালো।
৭. লাইভ বেকারি থেকে কিনলে স্লাইস না করে পুরো রুটি হিসেবে রাখুন। তবে স্লাইস না করে টাইট করে পেঁচিয়ে ‘পেপার স্লিভ এয়ার টাইট প্যাকেজিং’ করা আরও ভালো।
মেয়াদোত্তীর্ণ পাউরুটি কখনোই খাওয়া উচিত নয়। মেয়াদ শেষ না হলেও দু–তিন দিনের বেশি রাখা পাউরুটি খাওয়া নিরাপদ নয়। তাই কেনার পর দুদিনের মধ্যেই শেষ করা উত্তম।

