সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কেবল বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীর তীরই নয়, সিলেটের কোথাও কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। ক্রমান্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনাই দখলমুক্ত করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার বিষয়ে মো. সারওয়ার আলম বলেন, নানা অভিযোগ থাকলেও এখানে লোকবল সংকট। পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় ভাড়াটে লোক এনে চিকিৎসকরা হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাচ্ছেন। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও অনেক ঘাটতি আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেগুলোও পূরণ করার চেষ্টা করা হবে। এর আগে দুপুরে বিশ্বনাথ থানা পরিদর্শন করেন সিলেট জেলা প্রশাসক। পরে তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণের উদ্বোধন করেন। এ সময় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত কৃষকদের মধ্যে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদামের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করেন তিনি।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারওয়ার আলম বলেন, কৃষকরাই দেশের মূল চালিকাশক্তি। তাই কৃষকদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি অফিসার বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনন্দা রায়।
কৃষি অফিসের অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন মো. সারওয়ার আলম। এর পর উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। এ সময় খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গ্রামের ভূমিহীন ফাহিমা বেগম (৭০) একই গ্রামের আমির আলী (৪২), দশঘর ইউনিয়নের দশঘর গ্রামের জুবের আহমদ (২৭) ও আনিকা রানী বিশ্বাসকে (ক্ষেতের) জমির দলিল প্রদান করেন তিনি। সবশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস পরিদর্শন করেন সিলেট জেলা প্রশাসক। এ সময় উপজেলার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শায়েফ এগ্রো ফার্মের মালিক শায়েফ আহমদ ও দেওকলস নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শাফাহ ডেইরি ফার্মের মালিক তিশা বেগমকে খামারের নানা সরঞ্জাম প্রদান করেন।

