চাঁদপুরসহ সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ১৩ নভেম্বর শেষ হচ্ছে । জেলার সকল উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের টার্গেঠ ছিল ১২ অক্টোবর-১৩ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে) ১৮ কর্মদিবসে জেলায় টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় ৮ লাখ ৫ হাজার ২শ ৪৫ জন শিশুকে টার্গেট করা হয়েছে বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।
এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৪১ হাজার ৮ শ ৪৪ জন এবং ৯ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবহির্ভূত শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪ শ ১ জন। এ ছাড়া টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩ হাজার ৭ শ ৫৮টি। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে- ৫ লাখ ৮ হাজার ১৩ জন া যার হার- ৯৪ %। কমিউনিটিতে টিকা দেয়া হয়েছে-১ লাখ ৯০ হাজার ৪শ ৪৮ জন। যার হার ৭২%।
কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল- ২ হাজার ৪শ ২৪টি। টিকাদানকারী দলের সংখ্যা ৩শ ১৩টি। টিকা প্রদানকারী ৬ শ ১৬ জন, স্বেচ্ছাসেবী ৯শ ১৯ জন এবং প্রথম সারির তদারককারীর সংখ্যা ছিল ৩শ ৩ জন।
চাঁদপুরে ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়ন সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন হয় । ১২ অক্টোবর সকালে চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.এরশাদ উদ্দিন।
সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ নুর আলম দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.একেএম মাহবুবুর রহমান এবং জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আমিনুল ইসলাম।‘টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। সকলকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এ ভ্যাকসিন নিরাপদ,কারণ সরকার বিদেশ থেকে এটি ক্রয় করেছে। আর ক্রয়কৃত জিনিস কখনো খারাপ হয় না। পুরো মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন চলবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম সফল করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকারের এ উদ্যোগ সফলতার লক্ষ্য নিয়ে চাঁদপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে ।’
আবদুল গনি
১২ নভেম্বর ২০২৫
এজি

