জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচা-ভাতিজার উপর হামলা, হত্যার হুমকি

জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচা-ভাতিজার উপর হামলা, হত্যার হুমকি

জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচা-ভাতিজার উপর হামলা, হত্যার হুমকি

সিলেটের বিয়ানীবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচা-ভাতিজার উপর সিলেটের বিয়ানীবাজারে আঙ্গারজুর কুশিয়ার অটো বিকস এলাকায় বিয়ানীবাজার সিলেট মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শেওলা ইউনিয়নের তেরাদল গ্রামের মৃত মো. মজির উদ্দিনের পুত্র মো. মাহবুব হোসেন ইকবাল (৫২)ও তার ভাতিজা জাকির হোসেন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা যায় যে জমি সংক্রান্ত বিরোদ্ব এর জেরে এ হামলা হয়। গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে বিয়ানীবাজার-সিলেট মহাসড়কের আঙ্গারজুর কুশিয়ার অটো ব্রিকস এলাকার পাকা রাস্তায় এ হামলা হয় ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত মাহবুব হোসেন ইকবালকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।

আহত মাহবুব হোসেন ইকবাল অভিযোগে উল্লেখ করেন, মুঙ্গাদিয়া হিল্লুটিলার মৃত হারিছ আলীর ছেলে ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ফয়সল আহমদ সুমন এবং তার সহযোগী কুশিয়ার অটো ব্রিকসের ম্যানেজার আজাদ হোসেন ও পারভেজ আলম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়।

তিনি বলেন,“আমার মালিকানাধীন জায়গা-জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে তারা। এই বিষয়ে আমি আগে থেকেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। কয়েক বছর আগে স্থানীয় প্রশাসন বিবাদীকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছিল, তখন থেকেই তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।”

তিনি আরও জানান,গত ৩ নভেম্বর দুপুরে তেরাদল এলাকায় ফয়সল আহমদ সুমন আমাকে একা পেয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তায় আমি রক্ষা পাই। এরপর ৬ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমি ও আমার ভাতিজা জাকির হোসেন বাড়ি যাওয়ার সময় পুনরায় হামলার শিকার হই। ফয়সল আহমদ সুমন ও তার সহযোগীরা লোহার রড দিয়ে আমার ভাতিজার মাথা, মুখ ও নাকে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।”তিনি অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগের সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, এর আগেও বিবাদীরা ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর তাদের জমির দলিলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়। রাজনৈতিক প্রভাব ও ভয়ভীতির কারণে তারা সেই সময় বিচার পাননি।এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ জামান বলেন,“আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটির সত্যতা যাচাই ও তদন্ত চলছে।”

Explore More Districts