কাউখালী শ্রীগুরু সংঘ কেন্দ্রীয় আশ্রমে ৫ দিন ব্যাপী আবির্ভাব উৎসব শুরু

কাউখালী শ্রীগুরু সংঘ কেন্দ্রীয় আশ্রমে ৫ দিন ব্যাপী আবির্ভাব উৎসব শুরু

৬ November ২০২৫ Thursday ১১:৪৭:৩৮ PM

Print this E-mail this


কাউখালী শ্রীগুরু সংঘ কেন্দ্রীয় আশ্রমে ৫ দিন ব্যাপী আবির্ভাব উৎসব শুরু

রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী প্রতিনিধি পিরোজপুরের কাউখালীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমায় শ্রী গুরু সংঘ প্রতিষ্ঠাতা ধর্মগুরু শ্রীশ্রীমদ দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের এর ১৩৪তম আবির্ভাবকে ঘিরে শ্রীগুরু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আশ্রমের ৫ দিনব্যাপী বাৎসরিক উৎসব শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) থেকে এ উপলক্ষ্যে সকালে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণে সংঘ পতাকা উত্তোলন শেষে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আশ্রম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কাউখালী বন্দর প্রদক্ষিণ করে।

প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন আশ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি স্বামী জগন্নাথানন্দ সরস্বতী, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পরিতোষ মন্ডল,কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবীর, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ।

কেন্দ্রীয় আশ্রমের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুব্রত রায় জানান, বিশ্ব চরাচরের দুঃখ বিমোচন, অধর্ম থেকে রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপণার্থে বিশ্বশান্তি কামনায় পাচঁ দিন ব্যাপী এ উৎসবে ২৪ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হবে।এতে সারা দেশের ভক্তবৃন্দসহ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রায় লক্ষাধিক ভক্ত ও পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটবে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও ভক্তবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে সমবেত হবেন। এ আশ্রমের সেবামূলক অনেক কার্যক্রম রয়েছে। এর মধ্যে মন্দিরভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, দাতব্য চিকিৎসালয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিনামূল্যে বিশেষ চক্ষু চিকিৎসা, শিবির পরিচালনা, সুরেন্দ্র নাথ দে স্মৃতি পাঠাগার ও দৈনিক দরিদ্র নারায়ণ সেবা অন্যতম।

এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গল আরতি, শ্রীমতভাগবদ গীতা ও গুরুগীতা পাঠ, বস্ত্র বিতরণ, সরকারি হাসপাতালে দুঃস্থ রোগীদের মধ্যে ফল বিতরণ, সান্ধ্যকালীন প্রার্থনা ও ধর্ম সভা ইত্যাদি।১০ নভেম্বর সমাপনী দিনের মহোৎসবে কুঞ্জভঙ্গ, নগরকীর্তন ও পরিক্রমা এবং গুরুপূজা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। উৎসব উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গণে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে রাস মেলা।

নাগরদোলাসহ রকমারি জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। পাহাড়ি কাঠের নকশায় গড়া আকর্ষণীয় ফার্নিচারসহ দূর-দূরান্ত থেকে দোকানীরা এসেছে এই মেলায়।এছাড়া, শীতের গরম কাপড়, শিশুদের বিনোদনেরও অনেক খেলনা সামগ্রীতে জমে উঠেছে এ আনন্দমেলা।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts