বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়াল

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়াল

৬ November ২০২৫ Thursday ১:২৬:৫৬ PM

Print this E-mail this


বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়াল

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৯ জন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১০২ জন রোগী।

বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৫ জন।

এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন করে আরও ১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে আমতলীতে ২ জন, বামনা ও বেতাগীতে ৩ জন করে ৬ জন এবং পাথরঘাটা উপজেলায় ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। জেলার বাকি পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী।

এ বছর জেলায় মোট ৯ হাজার ২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৯২৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শুধুমাত্র বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৪৪ জন, আর বাকি পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ৯৮৫ জন।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে সদর উপজেলার পর পাথরঘাটা উপজেলার অবস্থান দ্বিতীয়। এ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত ৯১০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২ জন।

এছাড়া বরগুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ১২ জন এবং আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জনসহ সরকারি হিসাবে জেলায় মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জেলার বাইরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘মার্চ মাসে বরগুনায় ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণা হওয়ার পরও আমরা অন্যান্য জেলার তুলনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। এত সংখ্যক রোগী আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সরকারি হিসাবে ১৫ জন মারা গেছেন। তবে বেসরকারি হিসেবে জেলায় অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পৌরসভার সহযোগিতায় সীমিত জনবল নিয়েও আমরা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। তা না হলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে সকলের সচেতনতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।’

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts