অন্য দেশের ‘সরকার পরিবর্তনের’ নীতি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র

অন্য দেশের ‘সরকার পরিবর্তনের’ নীতি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র

অন্য দেশের ‘সরকার পরিবর্তনের’ নীতি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র

বাহরাইনে মানামা সংলাপের আগে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এসব কথা বলেন এ মার্কিন কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, “গত কয়েক দশক ধরে, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সরকার পরিবর্তন অথবা রাষ্ট্র গঠনে আটকে রয়েছে। যা ক্ষতিকর এবং এর কোনো শেষ নেই।”

“সবার ক্ষেত্রেই বিষয়টি ছিল এক রকম— সরকার পতন ঘটানো, অন্যদের ওপর আমাদের গঠিত সরকার চাপানোর চেষ্টা করা, এমন সব দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপ করা যেগুলো আমাদের বন্ধুর চেয়ে শত্রুর সংখ্যা বাড়িয়েছে।”

“ফলাফল কি?— ট্রিলিয়ন ডলার খরচ, অসংখ্য জীবনহানি এবং কিছুক্ষেত্রে বিশাল নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করা।”

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবাজের বদলে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা সবসময় করে আসছেন। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে কাতারে তালেবান নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছিল।

 

অপরদিকে এবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সিরিয়ায় বাসার আল-আসাদের সরকারের পতন ঘটে। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক জিহাদী আহমেদ আল-শারা। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাকে উদার হাতে বরণ করে নিয়েছেন ট্রাম্প।

তুলসি গ্যাবার্ড তার ওই বক্তব্যে স্বীকার করেছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে সেটি অনেক ভঙ্গুর। এছাড়া ইরান নিয়েও মন্তব্য করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক তুলসি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোগুলোতে নতুন করে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ

Explore More Districts