
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার পর মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মাসুদ রানা কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাছলা ইউনিয়নের তবর শেখের ছেলে এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ছিলেন।
নিহতের ভাই ওমর সানী জানান, স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শুক্তগ্রামের সুজন খাঁর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত মাসুদের ওপর হামলা চালায়। সম্প্রতি এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় সুজন খাঁর সঙ্গে মাসুদের বিরোধ দেখা দেয়। ঘটনার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুজন, হুমায়ুন, মান্দার খাঁ ও জসিমসহ কয়েকজন মিলে মাসুদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মাসুদ রানার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি কেবল হত্যাকাণ্ড নয়, বরং “একজন নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার” চরম লঙ্ঘন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আল মামুন বলেন, “ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই হত্যাকাণ্ড দেখিয়ে দিয়েছে— গ্রামীণ সমাজে মাদকবিরোধী অবস্থান নেওয়াই আজ জীবনঝুঁকির সমান।

