বালুর বস্তায় ঠেকিয়ে চলছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতু

বালুর বস্তায় ঠেকিয়ে চলছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতু

২৭ October ২০২৫ Monday ৭:২০:৫১ PM

Print this E-mail this


নিজস্ব প্রতিনিধি:

বালুর বস্তায় ঠেকিয়ে চলছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতু

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। উজিরপুর উপজেলার বামরাইল বাজার এলাকায় অবস্থিত সেতুটির নিচের তিনটি গার্ডারের মধ্যে দুটি গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুটি টিকিয়ে রাখতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ অস্থায়ীভাবে বালুর বস্তা ফেলে দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছে।

যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে পড়লে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।এতে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠিসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুর স্থায়ী সংস্কার না হলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেল চলাচল করে এই সেতুর ওপর দিয়ে। ফাটল ধরা গার্ডার ও অস্থায়ী বালুর বস্তার সাহায্যে চলা এই যান চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।

ইতিমধ্যে সেতুর দুই প্রান্তে গতিরোধক স্থাপন করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

স্থানীয় ভ্যানচালক ছালাম সরদার বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই এই সেতু তৈরি হয়েছিল। এরপর আর কোনো সংস্কার হয়নি।এখন সেতুর নিচের মাটি সরে গেছে, পাশে বড় গর্ত হয়েছে। ছোট গাড়ি গেলেও সেতু নড়ে ওঠে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মামুন খান বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ভারী যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। সেতুটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ দিন আগে উজিরপুরের বামরাইল এলাকায় সেতুটি পরিদর্শন করেন বিভাগের কর্মকর্তারা।

পরদিনই অন্তত ৪০ জন শ্রমিক নিয়ে জরুরি সংস্কারকাজ শুরু হয়। গার্ডারের নিচে বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ীভাবে সেতুটিকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা চলছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহীন খান জানান, সেতুর দুই পাশের মাটি নদীর স্রোতে ক্ষয় হয়ে গেছে। ফলে গার্ডারে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এই রুটে যানবাহনের চাপ বহুগুণ বেড়েছে। গার্ডারের অন্তত তিনটি স্থানে বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। আপাতত বালুর বস্তা ফেলে সেতুটি সচল রাখা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে স্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু হবে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts