বরগুনায় পুলিশ সদস্যের বাবাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

বরগুনায় পুলিশ সদস্যের বাবাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

২২ October ২০২৫ Wednesday ১১:৩৯:২৭ AM

Print this E-mail this


বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনায় পুলিশ সদস্যের বাবাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

বরগুনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পুলিশ সদস্যের বাবা আবদুর রশিদ ফরাজিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য লিটনসহ আহত হয়েছেন তার ভাই রাব্বি ফরাজি।   

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আহত পুলিশ সদস্যের বাবা আবদুর রশিদ ফরাজি। 

নিহত আবদুর রশিদ ফরাজি বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক গ্রামের বাসিন্দা। আহত পুলিশ সদস্য লিটন ফরাজি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানায় কর্মরত। তিনি ছুটিতে বাড়িতে ছিলেন। 

এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের মা রাহিমা বেগম আটজনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন— আবদুল হালিমের ছেলে আরিফ (২৫), আলতাফ চৌকিদারের ছেলে বাদল (৪০), লোকমান শিকদারের ছেলে জহিরুল (২৮), আহম্মদ ওরফে মোহর আলীর ছেলে জালাল (৪৫), আবুল কালামের ছেলে অন্তর মিয়া (১৯), ছালাম চৌকিদারের ছেলে নিপু (৩০), রুস্তুম চৌকিদারের ছেলে রহমতুল্লাহ (২৬) ও ওয়াজেদ আলীর ছেলে শুভ (২৫)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে দেশিয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে ১৫-২০ জন হামলাকারী পুলিশ সদস্য লিটন ফরাজির বাড়িতে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে লিটন ফরাজি, তার বাবা আবদুর রশিদ ফরাজি ও ভাই রাব্বি ফরাজিকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। প্রথমে তাদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আবদুর রশিদ মারা যান। তার শরীরে দেশিয় অস্ত্রের আঘাত ও পিস্তলের অন্তত পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। আহত লিটন ও রাব্বি বর্তমানে ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রাব্বির শরীরেও চারটি গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।  

আহত পুলিশ সদস্য লিটন ফরাজি মোবাইল ফোনে বলেন, প্রথমে একজন ঘরে ঢোকে, এরপর আরও ১৫-২০ জন ঢুকে হামলা চালায়। তাদের হাতে দেশিয় অস্ত্র ও অন্তত পাঁচটি পিস্তল ছিল। তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে আমরা তিনজন আহত হই, পরে আমার বাবা মারা যান।   

বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এটি ডাকাতি নয়, বরং পারিবারিক শত্রুতা থেকেই হামলাটি ঘটেছে। আসামিরা এলাকায় চিহ্নিত অপরাধী এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts