মামলাবাজ ট্রাম্পের ‘আইনি যুদ্ধ’ কার স্বার্থে

মামলাবাজ ট্রাম্পের ‘আইনি যুদ্ধ’ কার স্বার্থে

ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর বাজেট এখন বিশ্বের ১৭তম বৃহৎ সামরিক বাহিনীর সমান। তবু ট্রাম্প চান নিয়মিত সেনাবাহিনীও এসব অভিযানে যুক্ত হোক। সম্প্রতি ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকো ঘাঁটিতে জেনারেলদের সমাবেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ তাঁদের বলেন, ‘ওজন কমাও, দাড়ি কামাও, এবং ওয়োক (প্রগতিশীল) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুত হও।’ তাঁর বেআইনি নির্দেশেই ক্যারিবীয় সাগরে তথাকথিত ‘ড্রাগ বোট’-এর যাত্রীদের হত্যা করা হয়েছে।

এই বেআইনি সংস্কৃতি একধরনের লোভ ও দুর্নীতির দ্বারা চালিত হচ্ছে। হিটলার নিজে সম্পদের লোভে অন্ধ ছিলেন না। কিন্তু ট্রাম্প প্রকাশ্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের, তাঁর পরিবারের ও ঘনিষ্ঠদের জন্য অর্থ উপার্জন করছেন।

ট্রাম্পপন্থী ধনকুবের ইলন মাস্ক ও ল্যারি এলিসন সরকারি চুক্তি থেকে বিপুল সম্পদ গড়েছেন। তাঁর নিযুক্ত বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ উপসাগরীয় অঞ্চলে গিয়ে নিজের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। সঙ্গে আছেন তাঁর ছেলে অ্যালেক্স উইটকফ। অ্যালেক্স আবার ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্পের সঙ্গে ক্রিপ্টো ব্যবসায় অংশীদার। এই উদ্যোগে অর্থ দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এমনকি মেলানিয়া ট্রাম্পও নিজের জীবন নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরির জন্য জেফ বেজোসের কাছ থেকে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাচ্ছেন।

Explore More Districts