বিয়ানীবাজার পৌরশহরের খাসায় একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছে পুলিশ। সুনীল আচার্য (৫০) নামের ওই ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর ক্লুলেস নিহতের কারণ জানতে বেশ কাছাকাছি পৌঁছেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। স্থানীয় থানা পুলিশ এবং ডিবি পৃথকভাবে বিষয়টির তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশ এলাকায় দফায়-দফায় পরিদর্শন করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। সুনীলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।
গত (২ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ হন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী সুনীল আচার্য। তিনি খাসা গ্রামের মৃত সুখময় আচার্যের ছেলে। এলাকায় ইলেকট্রিকের কাজকর্ম করে সংসার চালাতেন তিনি। স্থানীয়ভাবে কারো সাথে তার কিংবা পরিবারের কারো কোন বিরোধ ছিলনা। কসবা ত্রিমুখি বাজার থেকে নিয়মিত মধ্যরাতে বাড়ি ফিরতেন তিনি। বাজার ঘিরেই ছিল তার আড্ডা। নিখোঁজের কিছুক্ষণ আগেও ওই বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে তিনি সিগারেট কিনেন। এরপর রাত প্রায় ১২ টা থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
নিহতের ভাই সুখময় আচার্য জানান, আমার ভাই নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করবো। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হবে। তবে পুলিশী তৎপরতায় আমরা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, লাশের ধরন দেখে মনে হয়েছে, এটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি কারণ নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে কাজ করছে তারা। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা হচ্ছেনা। সূত্র জানায়, মরদেহের সাথে তার নিজ ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। তবে মানিব্যাগ পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধারের সময় পচন ধরা অবস্থায় নিহতের শরীর ফুঁলা, হাতের একটি অংশে কাটার মত দাগ এবং অন্ডকোষ অতিরিক্ত ফুলা ছিল।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উজ্জামান বলেন, রহস্য উদঘাটনে আমরা বেশ এগিয়েছি। মামলার পর পুরো কার্যক্রম আরও জোরদার হবে।