মহিউদ্দিন সরকার: টঙ্গীতে কোনো ধরনের বিশৃংখলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ব্যতিত নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ও ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গাপুজা। টঙ্গীতে ৯টি পুজা মন্ডপে শুল্ক পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দেবী-বন্দনায় উৎসবের শুরু হয়েছিল, গত শুক্রবার দশমীতে দর্পন বিসর্জনের মাধ্যমে সেই উৎসব, উৎসাহ উদ্দীপনার সমাপ্তি ঘটে। এখানে পুজাকে কেন্দ্র করে নানা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি থাকায় কোন ঘটনা বড় হতে পারেনি। যে কারনে এবার দূর্গাপুজা শান্তি শৃংখলা ও আনন্দমুখোর পরিবেশে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় বলে মন্তব্য করেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা।
প্রতিমা বিসর্জন পর্বের পুরো নিরাপত্ত তদারকির দায়িত্বে ওসি ফরিদুল ইসলাম সবার সহযোগিতিা নিয়ে শান্তি শৃংখলার মধ্য দিয়ে তুরাগ নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করেছে বলে জানায় তারা। তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন বলেন- পুজার প্রতিটি স্তরে ৩ স্তরে নিরাপত্তা ছিল। ছিল ধর্মীয় সম্প্রতি। তারা আরও বলেন, পুজা শুরুর আগেই পুলিশ সদর দপ্তর মাঠ পুলিশকে ৩৫ দফা নির্দেশনা প্রদান করে। এই নির্দেশনায় প্রাক-পুজা, পুজা চলাকালিন প্রতিমা বিসর্জন এবং প্রতিমা বিসর্জন পরবর্তী এই ৩ ধাপে দূর্গাপুজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজাতে বলা হয় মাঠ পুলিশকে। কোনো ধাপে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় যাতে কোন ধরনের ফাক ফকোরার না থাকে। তা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদারকি করা হয়। এতে সদর দপ্তরের নির্দেশকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে ৩ স্তরে নিরাপত্তা দেন তারা।
টঙ্গী বাজার পুজা কমিটি ও মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক অমল ঘোষ বলেন, এ বছরের দূর্গাপুজা আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিড়িবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ও উৎসবমোখর পরিবেশে এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করি। এতে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।
