একমাত্র ভাই লিভার সিরোসিস ও টিউমার সমস্যায় যখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন, তখনই এগিয়ে এলেন দুই বোন। নিজেদের লিভার দিয়ে ভাইয়ের জীবন বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা জানেন, অপারেশনের পর তাদেরও ঝুঁকি আছে, কষ্ট আছে, দীর্ঘ পুনর্বাসন আছে। তবু তারা এগিয়ে গেছেন, কারণ ‘ভাই মানেই কলিজার টুকরা’– এই কথাটা শুধু প্রবাদ না, বাস্তবের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জীবনে।
কিন্তু তাতেও বিপত্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে প্রয়োজন প্রায় ৬০ লাখ টাকা। তাই সকলের সহায়তায় বেঁচে যেতে পারে একটি পরিবারের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুহাম্মদ সরওয়ার বাবার মৃত্যু পর থেকে নিজের কাঁধে সংসারের ভার নিয়েছিলেন। ছোট দুই বোন ও মাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকা, পড়াশোনা ও চাকরি সব মিলিয়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে লড়াইয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থতা তার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। অনিশ্চয়তায় পড়েছে তার পরিবার। বাঁচার একমাত্র উপায় লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট।
এই কঠিন সময়ে উঠে আসে এক মানবিক দৃশ্য। ছোট বোনদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। বোনরা বলেছেন, আমাদের লিভার দিয়েই ভাইয়ের জীবন বাঁচবে। আমরা চাই ভাই সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক।
অসুস্থ সরওয়া বলেন, আমার দুই বোনের ভালোবাসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের জন্য সুস্থ হয়ে ফিরে আসাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয়। ভারতের কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ছাড়া জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে না। চিকিৎসার খরচ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা। পরিবার চেষ্টা করছে, তবে এত বড় অঙ্কের টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
মানুষ মানুষের জন্য– সেই বিশ্বাস থেকেই সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে সরওয়ারের পরিবার। সকলের ছোট ছোট সহায়তা সরওয়ারকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। ভাইকে বাঁচানোর জন্য বোনের নিঃস্বার্থ ত্যাগ, মায়ের দোয়া আর পরিবারের অবিচল ভালোবাসা আমাদের শেখায়–সাহায্য ও মানবিকতা মানুষকে বাঁচাতে পারে।
অর্থ পাঠানোর মাধ্যম : ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান ১ শাখা, হিসাব নং : ২৪৬১০৩০১৮১৫৬৪। ইসলামি ব্যাংক, গুলশান সার্কেল ১ শাখা, হিসাব নং : ২০৫০২৭৬৭৪০০০৫৬২০৬। বিকাশ/নগদ (পার্সোনাল) ০১৮২৯৭৮২৭৪৫, ০১৮৪০১০৯২১৮।