ওয়াশিংটন, ০৫ অক্টোবর – ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ বন্ধে গত সোমবার ২০ দফার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরপর গত শুক্রবার হামাস শর্তসাপেক্ষে এ প্রস্তাব মানার ঘোষণা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই ট্রাম্প বিবৃতি দিয়ে জানান, হামাস শান্তি চায়। এখন দুই পক্ষ রাজি হলে যুদ্ধবিরতি হবে।
মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, হামাস প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। ওই সময় নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে বলেন, হামাস যে জবাব দিয়েছে এ নিয়ে উল্লাস করার কিছু নেই। কারণ তারা শর্তসাপেক্ষে রাজি হওয়ার অর্থ হচ্ছে, প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
নেতানিয়াহুর এ কথা শুনে ট্রাম্প ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং তাকে ধমক দিয়ে বলেন, “আমি জানি না আপনি সবসময় এমন নেতিবাচক কেন। এটি একটি জয়। এই জয় গ্রহণ করুন।”
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে ধমক দিয়েছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নেতানিয়াহুকে তিনি কতটা চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। তিনি নেতানিয়াহুকে বোঝাতে সমর্থ হন যদি হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি চায় তাহলে এটি তার গ্রহণ করা উচিত।
হামাস ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক জবাবে বলেছে, যুদ্ধ বন্ধ এবং গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহারের বিনিময়ে তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি আছে। কিন্তু প্রস্তাবের অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে হামাসের এ জবাবকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপনে ‘ষড়যন্ত্র’ করার চেষ্টা করেছিলেন নেতানিয়াহু। কিন্তু হামাস যে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এ বিষয়টিই ট্রাম্পের জন্য বড় ছিল। কারণ তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন হামাস হয়ত প্রস্তাব পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করবে। কিন্তু হামাস যখন জানিয়েছে তারা রাজি, ট্রাম্প ধরে নিয়েছেন তারা আসলে চুক্তি চায়।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ০৫ অক্টোবর ২০২৫