বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমদ বলেন, হযরত আবদুল কাদির জিলানী রহ. সময়েরর শ্রেষ্ঠ বুযুর্গ ছিলেন। তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক জগতের উজ্জ্বল সম্রাট। তিনি ছিলেন অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। একাধারে তিনি ছিলেন দ্বীনের একজন দাঈ ও তরীকায়ে কাদিরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। হাদীস, তাফসীর, ফিকহ সহ দ্বীনী সকল বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তিনি দ্বীনি জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের দ্বারা হাজার হাজার মানুষের অন্তরে দ্বীনের আলো জালিয়েছেন। তাঁর নিকট থেকে অনেক কারামত প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর জীবনের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের বেশি করে জানতে হবে। তাঁর সম্পর্কে সমাজে কিছু ভিত্তিহীন কাহিনীও প্রচলিত রয়েছে, এগুলোর বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী রহ. ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস। তাঁর জ্ঞানার্জনের পথপরিক্রমা রেশমের মতো মসৃণ ছিল না। তিনি জ্ঞানার্জনের জন্য এমন বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যা অবর্ণনীয়। বাগদাদে দুর্ভিক্ষ এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সময়ে তিনি ঝোপের ফল, শাকসবজির ফেলে দেওয়া অংশ এবং নদীর ধারে থাকা লেটুস পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করেছেন। সেই সময় তাঁর এমন অনেক দিন কেটেছে যেদিন তিনি কোনো খাবার পর্যন্ত খেতে পারেন নি। তাঁর এই ত্যাগ থেকে আমাদের জ্ঞানপিপাসুদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। তিনি অনেক গ্রন্থ লিখে গেছেন, যা আজ অবদি উম্মতে মুহাম্মদীকে ইলমের খোরাক যোগায় ও আদর্শের পথ দেখায়।
শনিবার (০৪ অক্টোবর) বাদ যুহর সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট মহানগর আয়োজিত “বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী রহ. এর জীবন ও কর্ম” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট মহানগর সভাপতি হুসাইন আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম নোমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শেহাব উদ্দিন আলীপুরী। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ কুতুব আল ফরহাদ, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জোন সিলেট সভাপতি আব্দুল আহাদ আকবর।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের সিলেট মহানগর সহ সভাপতি আরিফ হোসাইন সামাদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন মানিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল শাহ, প্রচার সম্পাদক নাজমুল হাসান রাসেল, সহ-প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবুল আহসান মো. ইয়াসিন, নাঈম আহমদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এইচ এম কাওছার আহমদ, সহ-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এজাজুল আম্বিয়া, আলবাব হোসেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সদস্য বুরহান উদ্দিন, নাঈম আহমদ, মারজান আহমদ তালহা, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সভাপতি এস এম আলী আহমদ, সরকারি মদন মোহন কলেজ সভাপতি মো. আব্দুল মুনিম, ২৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মুহাম্মদ ইউসুফ আহমদ সাইম, ২৪নং ওয়ার্ড সভাপতি ছালিম আহমদ, ৩৬নং ওয়ার্ড সভাপতি ইসমাইল হোসেন, ২২ নং ওয়ার্ড সহ সভাপতি মনজুর আহমদ, ২৪নং ওয়ার্ড সহ সভাপতি খায়রুল আমিন, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, ২০নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, ২২নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মারজান আহমদ, ২৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আলী, ২৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুস্তফা আসাদ, ২৬নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমদ, ২৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মারজান আহমদ, ৩৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান মাজেদ, ৪২নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম শিকদার প্রমুখ।