ইলিশ রক্ষায় অভিযান, প্রথমদিনেই ২২০ টন জব্দ

ইলিশ রক্ষায় অভিযান, প্রথমদিনেই ২২০ টন জব্দ

৫ October ২০২৫ Sunday ৫:০০:১৬ PM

Print this E-mail this


আমাদের বরিশাল ডেস্ক:

ইলিশ রক্ষায় অভিযান, প্রথমদিনেই ২২০ টন জব্দ

মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে নদ-নদীতে শুরু হয়েছে ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ইলিশের প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন রাখতে এবং মা ইলিশ সুরক্ষায় দেশের সবচেয়ে বড় ইলিশের অভয়াশ্রম বরিশালে অভিযান চালানো হয়।

জানা গেছে, অভিযানের প্রথম দিন বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৯৬টি অভিযানে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ২২০ টন ইলিশ ও প্রায় এক হাজার মিটার বিভিন্ন প্রকারের জাল জব্দ করা হয়।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১২টার পর অভিযানের শুরু থেকে পরদিন অর্থাৎ পাঁচ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওই সংখ্যক মাছ এবং জাল জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, প্রথম দিন বিভাগের ছয় জেলায় ৬৪টি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র, ২১০টি মাছ ঘাট, ৩৯২টি আড়ত এবং ২১৬টি বাজার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ সময় নদ-নদীতে ইলিশ শিকার, বাজারে বিক্রি এবং পরিবহনের সময় মোট ২২০ টন ইলিশ ও প্রায় এক হাজার মিটার বিভিন্ন ধরনের জাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দ জালের মূল্য ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। 

এ ঘটনায় মোট আটটি মামলায় এক লাখ পাঁচ হাজার পাঁচশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বরিশাল বিভাগে প্রায় সাড়ে চার লাখ জেলের ইলিশ ধরেন। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার জেলেকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০০৩-০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছিল। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে-পরে ১১ দিন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে গবেষণায় দেখা যায়, শুধু পূর্ণিমায় নয়, অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে। পরে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা মিলিয়ে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts