লুটপাটের সুযোগ থাকা প্রকল্প নিয়ে মেতে থাকে সরকার-প্রশাসন: মুলাদীতে ফুয়াদ

লুটপাটের সুযোগ থাকা প্রকল্প নিয়ে মেতে থাকে সরকার-প্রশাসন: মুলাদীতে  ফুয়াদ

৩ October ২০২৫ Friday ১০:৫৮:২৮ PM

Print this E-mail this


মুলাদী ((বরিশাল) প্রতিনিধি:

লুটপাটের সুযোগ থাকা প্রকল্প নিয়ে মেতে থাকে সরকার-প্রশাসন: মুলাদীতে  ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, লুটপাটের সুযোগ থাকা প্রকল্প নিয়ে রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসন মেতে থাকে। যেসব প্রকল্পে রাজনৈতিক দলগুলো লাভবান হয়, সেসব প্রকল্পে তদবির করা হয়। অথচ টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের যথেষ্ট অনীহা রয়েছে। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে বরিশালের মুলাদীতে চরকালেখান ইউনিয়নে জয়ন্তী নদী ভাঙন রোধে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, সরকারকে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশ ও জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়নের ব্যবস্থা করতে হবে। যেই প্রকল্পে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, এলাকার উন্নয়ন হয়, কৃষকের পুনর্বাসন হয় সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হলে এলাকাবাসীকে আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে যেতে হবে না, আমাদের কৃষিজমি নদীতে হারিয়ে যাবে না। তাই নদী ভাঙন রোধে জিওব্যাগের পরিবর্তে ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদীর ভাঙন রোধে শুক্রবার বিকালে চরকালেখান ইউনিয়নের ঢালীবাড়ি লঞ্চঘাট থেকে চরকালেখান নোমরহাট রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোামিটার মানববন্ধন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চরকালেখান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম সরদার, মানববন্ধন কর্মসূচির আহ্বায়ক প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম, চরকালেখান ইউপি সদস্য মো. রাশেদ খান, আব্দুল আজিজ সরদার, মুলাদী সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন সিকদার, চরকালেখান ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মালেক সরদার, মো. মামুন দেওয়ান, মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসীম মণ্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য মহসিন সরদার প্রমুখ। 

মানববন্ধন কর্মসূচির আহ্বায়ক প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, জয়ন্তী নদীর চরকালেখান ইউনিয়নের অলীল মেম্বারের বাড়ি থেকে খেজুরতলা তেরচর মোহনা পর্যন্ত প্রায় ৪কিলোমিটার জায়গায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার প্রায় নব্বই শতাংশ ঘরবাড়ি নদী ভাঙন কবলিত হয়ে প্রতিস্থাপন হওয়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে। নদী ভাঙনে এসব বাড়িঘর পুনরায় হুমকির মুখে পড়েছে। 

এছাড়া মুলাদী উপজেলা থেকে সফিপুর, সেলিমপুর, বাটামারা ও নাজিরপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কৃষিজমি হারিয়ে প্রায় ২ সহস্রাধিক পরিবার অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, আবাদি জমি, চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চরকালেখান ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পূর্ব বানীমর্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালেখান বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোমরহাট ও গলইভাঙা বাজার নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।  

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts