গণসংবর্ধনায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা, জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

গণসংবর্ধনায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা, জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

২৭ September ২০২৫ Saturday ৯:৪০:২৮ PM

Print this E-mail this


আমতলী ((বরগুনা) প্রতিনিধি:

গণসংবর্ধনায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা, জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা ও সদস্যসচিব হুমায়ুন হাসান শাহীনকে গণসংবর্ধনায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া উপজেলার এক যুবদল নেতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। 

আমতলী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মেহেদী জামান রাকিব ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া বলেন, নবগঠিত বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, সদস্যসচিব হুমায়ুন হাসান শাহীন ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক মাস্টারকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

তিনি বলেন, সংবর্ধনায় আমি আমার কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে বটতলায় অবস্থান করি। এ সময় উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মেহেদী জামান রাকিব, ছাত্রদল নেতা সোহাগসহ তার কয়েকজন সমর্থক আমার ওপর হামলা চালায় এবং লাঞ্ছিত করে।  তারা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ কমিটির নেতাদের দেওয়া ফুলের তোড়া ছিড়ে ফেলেছে। জীবন রক্ষায় আমি একটি ঘরে আশ্রয় নেই। তারা ওই ঘরেও ভাঙচুর করেছে।  জেলা নেতাদের গণসংবর্ধনা যাতে পণ্ড না হয়, সেজন্য আমি গণ্ডগোল এড়িয়ে গিয়েছি। আমাকে লাঞ্ছিত করা মানে জেলার বিএনপি নেতাদের লাঞ্ছিত করা। 

মহসিন মিয়া আরও বলেন, ১৯৯০ সালে আমতলী উপজেলা যুবদল সভাপতি ছিলাম। ওই সময় দলকে সুন্দরভাবে সাজিয়েছি। এরপর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব থেকে শুরু করে জেলা বিএনপির গুরুত্বপুর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি।  বিগত ৩৫ বছর বিএনপির রাজনৈতিক জীবনে বহু নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি কিন্তু দলত্যাগ করিনি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ১৬ বছরে অনেক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। 

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর রোষানলে পড়ে চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদে তিনবার চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েও ধরে রাখতে পারিনি।  সংসদ সদস্য শম্ভু প্রভাব খাটিয়ে তার দলীয় প্রার্থী আখতারুজ্জামান বাদল খানকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়েছেন। ১/১১ সরকারের সময় মাইনাস টু ফরমুলার বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম, ফলে তিন মাস সেনাবাহিনীর ভয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে।  ১/১১ এবং আওয়ামী লীগ আমলেও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। এখন নিজের দলের নেতাকর্মী দিয়েই লাঞ্ছিত হচ্ছি। আমাকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে জড়িত যুবদল নেতা মেহেদী জামান রাকিবসহ তার সমর্থকদের শাস্তি দাবি করছি।

আমতলী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী জামান রাকিব ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন। 

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বরগুনা যুবদলের নেতৃত্বে থাকাকালীন অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়াকে আমি আমতলী উপজেলা যুবদল সভাপতি করেছি। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলাম। তাকে আমি ভালোভাবেই চিনি এবং জানি। তার ওপর  এমন আচরণ ঠিক হয়নি। বিষয়টি আমি জেনেছি।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts