জাতীয় পুরস্কারের অনুষ্ঠানে মেয়ে আদিরাকে যে কারণে আনেননি রানী মুখার্জি – DesheBideshe

জাতীয় পুরস্কারের অনুষ্ঠানে মেয়ে আদিরাকে যে কারণে আনেননি রানী মুখার্জি – DesheBideshe

জাতীয় পুরস্কারের অনুষ্ঠানে মেয়ে আদিরাকে যে কারণে আনেননি রানী মুখার্জি – DesheBideshe

মুম্বাই, ২৭ সেপ্টেম্বর – বলিউডের রানি বলা হয় অভিনেত্রী রানি মুখার্জিকে। পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত মুখার্জি বাড়ির মেয়ে হয়েও তিনি বলিউড জয় করেছেন মেধা ও সৌন্দর্য দিয়ে। উপহার দিয়েছেন অনেক হিট সিনেমা। এবার জিতলেন প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। সম্প্রতি তিনি ‘মিসেস চ্যাটার্জী বনাম নরওয়ে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাওয়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কার নেন রানি মুখার্জি। এসময় সকলের নজর কাড়ে রানির গলায় থাকা বিশেষ নেকলেসটি। সেখানে তার মেয়ে আদিরার নাম লেখা ছিল। যদিও মেয়ে তার সঙ্গে ছিল না। কিন্তু জীবনের সেরা পুরস্কারটি গ্রহণ করতে যাওয়ার মঞ্চে কেন একমাত্র সন্তানকে নিয়ে গেলেন না তিনি?

এক সাক্ষাৎকারে রানি মুখার্জি জানালেন সেই তথ্য। তিনি মুখ খুলেছেন কেন তার কন্যা আদিরাকে তিনি নিয়ে যেতে পারেননি। সেইসঙ্গে মেয়ে সঙ্গে না গেলেও কীভাবে তিনি তাকে কাছাকাছি রেখেছিলেন সেই কথাও জানালেন।

রানি বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছিল যে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুরা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবে না। আমাকে আদিরাকে বলতে হয়েছে যে সে আমার সঙ্গে থাকতে পারবে না। তখন সে কেঁদে দিয়েছে। তার ভাষ্য ছিল, ‘এটা খুবই অন্যায়।’ আমি তাকে বললাম, ‘চিন্তা করো না, আমি তোমাকে আমার বিশেষ দিনে সঙ্গে রাখব।’

রানি আরও জানান, ‘আমি আদিরাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্যানরা যেভাবে আমার নেকলেসের ভিডিও শেয়ার করেছে, তা দেখালাম। তখন সে শান্ত হয়ে গেল। আমি তাকে আমার সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করি। আমি চাইতাম সে আমার সঙ্গে থাকুক। আর সেই নেকলেসটিই ছিল সেই অনুষ্ঠানে আমার মেয়েকে আমার কাছে রাখার সবচেয়ে সেরা উপায়। যারা ইনস্টাগ্রামে লিখেছে ‘রানি তার কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন’, তাদের সকলকে ধন্যবাদ। আমি সেই ভিডিওগুলো আদিরাকে দেখালাম। পরে সে শান্ত হয়েছিল।’

রানি মুখার্জি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন আশিমা চিব্বর পরিচালিত ‘মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়ে’ ছবির জন্য। সিনেমাটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। এতে দেখা যায় ভারতের নাগরিক সাগরিকা চক্রবর্তীর সন্তানরা ২০১১ সালে নরওয়ের শিশুকল্যাণ সংস্থার হাতে চলে যায়। এটি দুটি দেশের মধ্যে দীর্ঘ ও আবেগঘন আইনগত লড়াইয়ের গল্পকে উপস্থাপন করে।

এনএন/ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫



Explore More Districts