বিক্ষোভকারীরা কী চাইছেন
২০১৯ সালে মোদি সরকার একতরফাভাবে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের আধা স্বায়ত্তশাসন ও রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে দেয়। এর আগপর্যন্ত ভারতের সংবিধানের আলোকে অঞ্চলটি আধা স্বায়ত্তশাসন ও রাজ্যের মর্যাদা ভোগ করত।
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে তিনটি অঞ্চল ছিল। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর উপত্যকা, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু। অন্যদিকে লাদাখে মুসলিম ও বৌদ্ধ জনসংখ্যা প্রায় সমান। উভয় সম্প্রদায় প্রায় ৪০ শতাংশ করে।
মোদি সরকার সাবেক রাজ্যটিকে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে করা একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যেখানে আইনসভা রয়েছে। আর লাদাখ নিয়ে আরেকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। কিন্তু সেখানে আইনসভা নেই।
কেন্দ্রশাসিত হলেও এই দুই অঞ্চলের ক্ষমতা ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর মতো নিজেদের কাছে নেই। তবে আইনসভা থাকায় জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ অন্তত স্থানীয় নেতা নির্বাচনের সুযোগ পান, যাঁরা তাঁদের সমস্যা নয়াদিল্লির কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
স্থানীয় মানুষের মতে, লাদাখবাসীর এই সুযোগটি পর্যন্ত নেই।
কাশ্মীর ভারত, পাকিস্তান ও চীন—এই তিন দেশের সীমান্তে অবস্থিত একটি বিতর্কিত অঞ্চল। পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিবেশী এই তিন দেশই অঞ্চলটির কিছু কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ভারত পুরো অঞ্চলটিকে নিজেদের বলে দাবি করে।
চীননিয়ন্ত্রিত অংশ বাদ দিয়ে বাকি পুরো অঞ্চলটি নিজেদের বলে পাল্টা দাবি করে পাকিস্তান। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পশ্চিমে পাকিস্তান। আর লাদাখের পূর্বে চীন। এখানে চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্তের পরিমাণ ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার।