২২ September ২০২৫ Monday ১২:১৫:৪২ AM | ![]() ![]() ![]() ![]() |
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

জুলাই হত্যা মামলা নিয়ে বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বিএনপির সদস্য ও মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ ও সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী মশিউর রহমানকে শোকজ করেছে জেলা বিএনপি। রোববারা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. মজিবুর রহমান টোটন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের বিরুদ্ধে জুলাই হত্যা মামলা নিয়ে বানিজ্যের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাহা সংগঠনের শৃংখলা, নীতি ও আদর্শের পরীপন্থি বলে প্রতীয়মান হয়। এই প্রেক্ষাপটে কেন আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না, তা আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব নিন্ম স্বাক্ষরকারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. মজিবুর রহমান টোটন’র নিকট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
তবে শোকজের নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী মশিউর রহমান বলেন, আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তিনি ও তার পিতা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ। নির্দিষ্ট সময়ে নোটিশের জবাব তারা দিবেন বলে জানান।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ০৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামের কামাল আকনের ছেলে আবু রায়হান। ০৬ আগষ্ট আবু রায়হানের নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তুু দাফনের প্রায় ৮ মাস পর আবু রায়হানের পিতা কালাম হোসেন বাদী হয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, ঢাকা ১১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, শেখ সেলিসসহ প্রায় ২২৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের হয়।
পরবর্তীতে মামলার বাদী কামাল হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও বক্তব্যে বলতে শোনা যাচ্ছে পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী মশিউর রহমান তাকে (মামলার বাদীকে) রায়হানের মৃত্যু সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য ঢাকায় যেতে বলেন। পরে কামাল হোসেন ঢাকায় গেলে মশিউর রহমান তার সাদা কাগজে অনেক গুলো স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষর দেয়ার কয়দিন পর কামাল হোসেন জানতে পারেন মামলা হয়েছে। কিন্তু কতজন বা কাকে কাকে মামলায় আসামী করা হয়েছে তার কিছুই জানেন না বাদী কামাল হোসেন এমনটিই দাবি করেন তিনি। বিষয়টি যখন এলাকায় জানাজানি হয় তখন পুরো পটুয়াখালী জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিজ স্বার্থ ও উদ্দেশ্য পূরনের লক্ষ্যেই নাকি মশিউর স্থানীয় লোকজনদের আসামি করেন এবং মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্যও নাকি বানিজ্য করা হচ্ছে, যার কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন বাদী কামাল হোসেন।
এ ব্যপারে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাদারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. মজিবুর রহমান টোটনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে শো-কজ করা হয়েছে।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |