মুজাহিদ মসি: অর্ধশতক সময় ধরে কলম হাতে দুর্নীতি,অনিয়ম আর অসহায় মানুষের কথা তুলে ধরেছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া গ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক রাখাল দে। কিন্তু ৭০ বছর বয়সে এসে তিনি নিজেই লড়ছেন চরম আর্থিক সংকটে।
দুই দফা স্ট্রোকের পর বর্তমানে তাঁর একটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে। চিকিৎসা ও সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই অভিজ্ঞ সংবাদকর্মীকে। দীর্ঘদিন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কাজ করলেও কোনো আর্থিক নিরাপত্তা পাননি তিনি।
তাঁর একমাত্র ছেলে উচ্চশিক্ষা শেষে ধার–কর্য করে সম্প্রতি প্রবাসে গেলেও সফল না হওয়ায় পরিবার আরও চরম অর্থকষ্টে পড়েছে।
রাখাল দে হবিগঞ্জের দেশজমিন, প্রতিদিনের বানীসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে দীর্ঘদিন সংবাদ পরিবেশন করেছেন। সর্বশেষ তিনি জাতীয় দৈনিক মানবকণ্ঠে চার বছর কাজ করেন।অসুস্থতা ও বয়সজনিত কারণে অবসর নেওয়ার পর তাঁর প্রতিনিধিত্ব চলে আরেক সাংবাদিকের হাতে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য অনুসন্ধানী রিপোর্টের মধ্যে রয়েছে—তেলিয়াপাড়ায় বসতি বিনিময় কেলেঙ্কারি, শুক্কুরি হত্যা-ধর্ষণ রহস্য উদঘাটন এবং মাধবপুরে পুলিশ কর্মকর্তা সাব্বিরের ঘুষ বাণিজ্য কাণ্ড ইত্যাদি।
এলাকাবাসীর মতে, রাখাল দে শুধু সংবাদকর্মী নন, তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং মানবিক কাজে সবসময় এগিয়ে এসেছেন।
মাধবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন খান বলেন, “রাখাল দে শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি আমাদের প্রেরণা। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী লেখা মাধবপুরের সাংবাদিকতা জগতে অমূল্য অবদান রেখেছে। আজ তাঁর সংকটময় মুহূর্তে সমাজের বিত্তবান ও প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত।”
অন্যদিকে স্থানীয় সাংবাদিক মুজাহিদ মসি বলেন, “মানবিক সহায়তা পেলে এই প্রবীণ সাংবাদিক অন্তত জীবনের শেষ সময়ে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে দিন কাটাতে পারবেন।”