গোসলে নেমে নদী খননের গভীর গর্তে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ

গোসলে নেমে নদী খননের গভীর গর্তে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ

দিনাজপুরে রুকাইয়া-আলিফের মতো নদী বা পুকুরে গোসলে নেমে প্রাণহানির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। বিশেষত বর্ষাকালে প্রাণহানির ঘটনা বেশি।

এ বিষয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৪ বছরে তারা ৫৪টি ফোন পেয়েছে। এসব ফোন পেয়ে তারা ৬২ জনের মরদেহ ও ৩৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। যদিও স্থানীয় পত্রিকা ঘেঁটে গত ৪ বছরে ৮৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা জানা গেছে। এর মধ্যে নদীতে ডুবে মারা গেছেন ৪৬ জন। অন্যরা পুকুর-জলাশয়ে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই শিশু, যাদের বয়স ৪ থেকে ১৫ বছর। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলায়।

আত্রাই নদের মাধবের ঘাট এলাকার বাসিন্দা দীনেশ চন্দ্র বলেন, ‘খোঁজ নি দেখেন, আত্রাই নদীত ছাওয়া পড়ি মারা যাওয়ার ঘটনা বেশি। গোটা নদীটাত মেশিন দি বালু উঠি নিয়ে যাছে। বালু তুলায় একেকটা গর্ত হইছে দুই–তিন মানুষ (অন্তত ১৫ ফুট গভীর)। ছাওয়া ছোট নদীত স্নান করিবা আসিবি, ওমাক ফির বারণ করা যায়!’

স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেশির ভাগ মৃত্যুর ঘটনা সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটার মধ্যে। উঠানে খেলার সময় বাড়ির লোকজনের অগোচরে পুকুরে পড়ে যাওয়া, নয়তো দল বেঁধে নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে।

Explore More Districts