নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার নিজস্ব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় স্থানীয় পাঁচ ইউনিয়নের অসহায় মানুষের চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে জালালাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে ছুটে এলেও এই কেন্দ্রের প্রবেশপথ যেন তাদের জন্য আরও এক নিদারুণ কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান নোংরা পানিতে তলিয়ে যায় প্রবেশপথ। চারপাশ ভরে ওঠে ময়লা-আবর্জনায়, ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ। জরুরি রোগীকে কাঁধে তুলে বা কোলে নিয়ে পানির ভেতর দিয়ে কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসা এখন রোগীর স্বজনদের জন্য নিত্যদিনের চিত্র। স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে যেন আগে লড়তে হয় নোংরা পানির সঙ্গে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—“এই কেন্দ্র কোনো সাধারণ ভবন নয়, গরিব মানুষের একমাত্র চিকিৎসার ঠিকানা। অথচ প্রবেশপথের করুণ দশা দেখার মতো কেউ নেই। জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দেন, কার্যকর উদ্যোগ নেই।”
মাকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা শাহিনা খাতুন জানান, “আমার বৃদ্ধ মাকে কাঁধে নিয়ে কাদাপানি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসে এমন কষ্ট কল্পনাও করিনি।”
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার এমন করুণ চিত্র স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার প্রতিফলন। তারা প্রশ্ন তোলেন “উপজেলা হওয়ার পরও যদি মানুষের চিকিৎসার একমাত্র কেন্দ্রের প্রবেশপথ নোংরা পানির স্থায়ী আবাস হয়ে থাকে, তবে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি আসলে কোন মানুষের জন্য?”