এশিয়ান হাতির অন্যতম প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র চুনতি অভয়ারণ্যের বন পুনরুদ্ধারে চুনতি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে দেশীয় প্রজাতির বনজ ঔষধি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুর ১টায় এ দেশীয় প্রজাতির চারারোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। একই সাথে অভয়ারণ্যের ভেতর আকাশমনি প্রজাতির বৃক্ষ অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
জানা যায়, চুনতি অভয়ারণ্যের গহীণ জঙ্গলে সাপমারা এলাকা থেকে এ দেশীয় প্রজাতির ফলজ বনজ চারা রোপন কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চুনতি বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূর জাহান, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজি বাহার উদ্দিন, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বিট কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার দরফদারসহ বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা, বন বিভাগের সদস্য ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, চুনতি অভয়ারণ্য হলো এশিয়ান হাতীর অন্যতম আবাসস্থল। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থান। এ বনকে রক্ষা করতে হলে দেশীয় প্রজাতির গাছ ও প্রাকৃতিক বনের বিকাশ করতে হবে। তা না হলে এ বনের জীববৈচিত্র রক্ষা পাবেনা। এছাড়া বর্তমান অবশিষ্ট এ অভয়ারণ্য যাতে আর ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে বনবিভাগের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। পাশাপাশি বনের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য, চুনতি অভয়ারণ্য পুনরুদ্বারে আকাশমনি গাছ অপসারণ করে বনপুকুর গহীন জঙ্গলে সাপ মারা অভয়ারণ্য এলাকায় চালতা, চম্পা, মহুয়া, বট, কদম, ঢাকিজাম, পুতিজাম, সিভিট, চিকরাশি, অর্জুন, গামার, বকফুল, বহেরা, ছাতিয়ান, জারুল, শিমুল, তেজবহুল, তেলসুর, আমলকি, হরিতকিসহ মোট ২০ প্রজাতির দেশীয় চারা রোপন করা হয়।